বুলেট ট্রেন নিয়ে এখন মাতামাতির শেষ নেই ভারতবাসীর মধ্যে। এমনিতে দীর্ঘ বেশ কিছু বছর ধরে ছুটে চলা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস ট্রেন সকলের মধ্যে এক আলাদাই ভালো লাগা তৈরী করেছে। এখন আরও বেশি বেশি করে মানুষ ট্রেনে উঠছেন। কিন্তু এখানেই শেষ নয়, এখন দেশবাসী অধীর আগ্রহের সঙ্গে অপেক্ষা করছেন বুলেট ট্রেনের (Bullet Train)। ইতিমধ্যে কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। প্রথমে যে বুলেট ট্রেনটি আসবে সেটি মুম্বাই ও আহমেদাবাদকে যুক্ত করবে। যাইহোক, এবার এই বুলেট ট্রেন প্রকল্প নিয়েই প্রকাশ্যে এলে বিরাট আপডেট যেটি সম্পর্কে শুনলে ও জানলে আপনারও মন খুশ হয়ে যাবে। কী সেই আপডেট জানতে ঝটপট পড়ে ফেলুন আজকের এই আর্টিকেলটি।
বুলেট ট্রেন নিয়ে বড় আপডেট
মুম্বই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পের কাজ যত এগোচ্ছে, ততই মানুষের কৌতূহলও বাড়ছে। ঘণ্টায় ৩২০ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার বেগে চলা বুলেট ট্রেন মুম্বই থেকে আহমেদাবাদের মধ্যে ৫০৮ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে সময় নেবে মাত্র ২ থেকে ২.৩০ ঘণ্টা। মুম্বই ও আমেদাবাদের মধ্যে ১২টি বুলেট ট্রেন স্টেশন তৈরি করা হবে, যার রূপরেখাও তৈরি করা হয়েছে বলে খবর। যাইহোক, রেলমন্ত্রী শ্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব সম্প্রতি রাজ্যসভায় শ্রীমতী গীতা ওরফে চন্দ্রপ্রভা এবং শ্রী নারায়ণ কোরাগাপ্পার প্রশ্নের সম্বোধন করে নিশ্চিত করেছেন যে মুম্বাই-আহমেদাবাদ হাই-স্পিড রেল (এমএএইচএসআর) প্রকল্প, ৫০৮ কিলোমিটার দূরত্ব জুড়ে, বর্তমানে ভারতের একমাত্র সরকারীভাবে অনুমোদিত উচ্চ-গতির রেল প্রকল্প।
জাপান সরকারের প্রযুক্তিগত ও আর্থিক সহায়তায় মুম্বাই-আহমেদাবাদ বুলেট ট্রেন প্রকল্পটি গড়ে তোলা হচ্ছে। মুম্বই, থানে, ভিরার, বোইসার, ভাপি, বিলিমোরা, সুরাট, ভারুচ, ভদোদরা, আনন্দ, আহমেদাবাদ ও সবরমতী স্টেশনগুলিকে যুক্ত করবে এই রেলপথ। প্রকল্পের নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
কত দূর কাজ হয়েছে?
এখনও পর্যন্ত ৩৩৬ কিলোমিটার পিয়ার ফাউন্ডেশন, ৩৩১ কিলোমিটার জেটি নির্মাণ, ২৬০ কিলোমিটার গার্ডার ঢালাই এবং ২২৫ কিলোমিটার গার্ডার লঞ্চিংয়ের কাজ শেষ হয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, সমুদ্রের নীচে ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ টানেলের কাজও শুরু হয়েছে, যা এই উচ্চ-গতির রেল করিডোরের উন্নয়নে একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক চিহ্নিত করেছে।
এই রুটগুলিতে ছুটবে বুলেট ট্রেন
দিল্লি-বারাণসী এবং বারাণসী-হাওড়া করিডোরগুলি উত্তর প্রদেশের মধ্য দিয়ে যাবে। এতে করে দেশের আর্থিক অবস্থা আরও ঘুরে দাঁড়াবে বলে মনে করা হচ্ছে। এই উচ্চ গতির রেল প্রকল্পগুলি মূলধন-নিবিড়, এবং তাদের অনুমোদনের সিদ্ধান্তগুলি এই কারণগুলির পুঙ্খানুপুঙ্খ মূল্যায়নের উপর নির্ভর করবে।
সম্প্রতি রাজ্যসভায় এক প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানান, মুম্বই-আহমেদাবাদের পর আরও অনেক রুটে বুলেট ট্রেন চালানোর পরিকল্পনা রয়েছে।রেলমন্ত্রী ন্যাশনাল হাই স্পিড রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচএসআরসিএল) কে ৭ টি হাই স্পিড রেল (এইচএসআর) করিডোরের বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরির দায়িত্ব দিয়েছেন। যে সাতটি হাইস্পিড রেল করিডরে বুলেট ট্রেন চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেগুলির মধ্যে রয়েছে:
১. দিল্লি-বারাণসী
২. দিল্লি-আহমেদাবাদ
৩. দিল্লি-অমৃতসর
৪. মুম্বাই-নাগপুর
৫. মুম্বই-পুনে-হায়দরাবাদ
৬. চেন্নাই-বেঙ্গালুরু-মহীশূর
৭. বারাণসী-হাওড়া।