প্রীতি পোদ্দার, বর্ধমান: ট্রেন আসতে অনেক দেরি। তাই যাত্রী প্রতীক্ষালয়ে অপেক্ষা করতে হয়েছিল যাত্রীদের। আর ঠিক সেই সময় বর্ধমান স্টেশনের যাত্রী প্রতীক্ষালয় থেকে সোনার গহনাভর্তি একটি ব্যাগ চুরি করে নিল ৭০ বছরের এক বৃদ্ধ। ধরা পড়ে অবশেষে স্বীকার করলেন দোষ।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, গত ৪ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টা নাগাদ উত্তরপ্রদেশের বারাণসী থানার ভেলুপুরের বাসিন্দা মিন্টু অধিকারী ও তাঁর ছেলে প্রিয়াংশু বর্ধমান স্টেশনের দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রতীক্ষালয়ে অপেক্ষা করছিলেন। তাঁরা আপ পূর্বা এক্সপ্রেস ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন সেখানে। কিন্তু সেই অপেক্ষাই বড় বিপদ ডেকে এনেছিল। যেখানে তাঁরা ট্রেন ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন সেখান থেকে তাঁদের একটি ব্যাগ চুরি হয়ে যায়। ব্যাগে বেশ কিছু সোনার গয়না এবং ৩,০০০ টাকা ছিল। হঠাৎ করেই পাশ ফিরে তাঁদের ব্যাগ দেখতে না পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এবং আশেপাশে খুঁজতে থাকেন। অবশেষে না পেয়ে তাঁরা দুজনেই চুরির বিষয়ে GRP তে অভিযোগ দায়ের করেন।
গোটা ঘটনার তদন্তে নামে GRP। আশপাশের সকল সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। আর সেই ফুটেজে দেখা যায় বছর ৭০ এর একজন বৃদ্ধ ওই দুই যাত্রীর ব্যাগ হাটিয়েছে। খোঁজ শুরু হয় ওই বৃদ্ধের। কিন্তু জানা যায় চুরির পর থেকেই এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন ওই বৃদ্ধ। ধৃতের নাম জীবন রাও। বাড়ি হুগলির চুঁচুড়া থানার ব্যান্ডেল এলাকায়। চুরির পর বেশ কয়েক দিন গা-ঢাকা দিয়ে থাকার পর গত শনিবারই ঘরে ফেরেন জীবন। এর পরই GRP তাঁর বাড়িতে হানা দিয়ে তাঁকে গ্রেফতার করেছে।
দু’দিনের পুলিশ হেফাজত বৃদ্ধার
GRP সূত্রে জানা গিয়েছে, জেরার মুখে প্রথম দিকে কিছুই চুরির বিষয়ে স্বীকার করছিলেন না তিনি। তারপর তাঁকে চাপ দেওয়াতেই চুরির কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জীবন। চুরি হয়ে যাওয়া জিনিস ঘরে বিছানার তলা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল অর্থাৎ রবিবার ওই বৃদ্ধকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। চুরির বাকি মালপত্র এবং টাকা উদ্ধার করতে ধৃতকে তিন দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন করে GRP। তারপরেই ধৃতের দু’দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছে আদালত।