‘ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ নয়!’, OBC সার্টিফিকেট মামলায় সুপ্রিম কোর্টে ঝটকা খেল রাজ্য

Published on:

obc certificate cancellation case hearing on supreme court

পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে ২০১০ সালের পর থেকে রাজ্যের তৈরী সমস্ত ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল বলে ঘোষিত হয়। এরফলে ১২ লক্ষ সার্ফিটিকেট বাতিল হয়ে যায়। তবে হাইকোর্টের এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছে রাজ্য। আজ সোমবার ছিল সেই মামলার শুনানি। কি রায় দিল শীর্য আদালত? জানতে আজকের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।

OBC Certificate বাতিল মামলার শুনানি

WhatsApp Community Join Now

আজ সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের পক্ষ থেকে আইজনীবি কপিল সিব্বল জানান, কলকাতা হাইকোর্টের রায়দানের ফলে ১২ লক্ষ OBC সার্টিফিকেট বাতিল হয়েছে। রাজ্যের মোট ২৮% সংখ্যালঘুর মধ্যে ২৭% মুসলিম সম্প্রদায়ভুক্ত। তাদের জন্য সংরক্ষণের সুপারিশ করা হয়েচিল রঙ্গনাথ কমিশনে। পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়ের জন্যই এই সংরক্ষণ যার মধ্যে মুসলিমরা ছাড়াও আরও অনান্য সম্প্রদায়ের লোকেরাও আছেন।

এদিকে অন্ধ্রপ্রদেশের এক রায়কে দেখেই কলকাতা হাইকোর্টের তরফ থেকে OBC সার্টিফিকেট বাতিলের রায় দেওয়া হয়। যদিও অন্ধ্রপ্রদেশে এই রায়ের উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়েছে। এই ঘটনার পরেই বিচারপতি জানান, শুধুমাত্র ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ পাওয়াটা কাম্য নয়।

কমিশন ছাড়াই কিভাবে সংরক্ষণ তালিকা বানাতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়?

রাজ্যের বানানো সংরক্ষণ তালিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট। বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথন জানান, কমিশন গঠন ছাড়াই কিভাবে বিশ্ববিদ্যালয় সংরক্ষণ তালিকা তৈরী করে! যদিও রাজেয়ের দাবি বিশ্ববিদ্যালয় তালিকা বানায়নি, শ্রেণীবিন্যাস করেছে মাত্র।

রায়ের উপর স্থগিতাদেশের দাবি রাজ্যের

এদিন আইনজীবী পিএস পাটোয়ালিয়া সুপ্রিম কোর্টে জানান, হাই কোর্টের রায় বলছে OBC তালিকা তৈরিতে কোনো সমীক্ষা করা হয়নি। অর্থাৎ কোনো তথ্য ছাড়াই ওবিসি ঘোষণা করে দেওয়া হয়েছে কমিশনকে এড়িয়ে।

এরপর বিচারপতি গাভাই বলেন, হাই কোর্ট জানিয়েছে শ্রেণীবিন্যাস করে সেটা রাজ্য বিধানসভায় পেশ করা হোক। রাজ্য নিজের ক্ষমতাতেই কেন সেটা করছে না? যদিও পাল্টা হাই কোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশের দাবি জানায় রাজ্যের আইজীবীরা। তবে এখুনি কোনো স্থতিগাদেশ দেওয়া হচ্ছে না। আসন্ন জানুয়ারি মাসে পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য্য করা হয়েছে। তাই রায়ের জন্য পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X