প্রীতি পোদ্দার, মন্দারমণি: বেশ কয়েকদিন ধরে মন্দারমণি এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা হোটেল, লজ, রিসোর্ট এবং হোম স্টে নির্মাণের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে প্রতিবাদ চলছে। ক্ষুব্ধ প্রশাসন সংস্থা। গত ১১ নভেম্বর মন্দারমণি এবং তার আশেপাশের আরও চারটি মৌজার মধ্যে মোট ১৪৪টি অবৈধ নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিল। এবং সিআরজেডের জেলা কমিটির তরফে বলা হয়, এই হোটেলগুলো উপকূলীয় বিধির প্রতি অবহেলা করে গড়ে উঠেছিল এবং তাই এসব নির্মাণ অবৈধ।
প্রশাসনের নির্দেশের বিরুদ্ধে মামলা মালিক সংগঠনের
প্রশাসনের নির্দেশে বেশ চাপে পড়েছে সেখানকার ব্যবসায়ীরা। কারণ মন্দারমণি একটি প্রধান পর্যটন কেন্দ্র এবং সেখানকার ব্যবসা ও পরিবেশের মধ্যে সঠিক ভারসাম্য রক্ষা করা জরুরি। তাই সেই নির্দেশকে মানতে নারাজ সেখানকার হোটেলের মালিক সংগঠন। তাই জেলা প্রশাসনের এই নির্দেশের বিরুদ্ধে তাঁরা কলকাতা হাই কোর্টে আবেদন জানায়। গত ২২ নভেম্বর আদালত জেলাশাসকের ওই নির্দেশের ওপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ প্রদান করেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। সেই সময়ে বিচারপতি অমৃতা সিনহা এই স্থগিতাদেশের মেয়াদ ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন।
বিচারপতির অনুপস্থিতিতে শুনানির দিন পিছিয়ে গেল
কিন্তু এর মাঝে গত ৪ ডিসেম্বরের মধ্যে এই বিষয়ে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসককে বিশদ রিপোর্ট জমা দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার এই মামলায় শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বিচারপতি অমৃতা সিনহা এখন রয়েছেন পোর্টব্লেয়ার বেঞ্চে। তিনি না-থাকায় শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। ফলে তাঁর অনুপস্থিতিতে আগামী ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত মন্দারমণির ‘অবৈধ’ হোটেল ভাঙার বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ না-করার নির্দেশ দিয়েছেন আরেক বিচারপতি সেনগুপ্ত।