শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ যত সময় যাচ্ছে, ততই বাংলাদেশের পরিস্থিতি যেন হাতের বাইরে চলে যাচ্ছে। বেশ কিছুদিন সময় ধরে ওপার বাংলার সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতনের বিভিন্ন ঘটনার সামনে আসছে। এমনকি রবিবার বাংলা, বিহার ও ওড়িশা দখলের হুমকি দিয়েছিলেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভি। যদিও বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাফ সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, ‘যারা বলছে বিহার দখল করবো, ওড়িশা দখল করব তাদের আমি বলি ভাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন সুন্দর থাকবেন। কিন্তু এত বড় হিম্মত কারো নেই, আমরা বসে বসে ললিপপ খাব না।’ এসবের মাঝেই এবার ভারত-বাংলাদেশে বসল এক বিশেষ ধরনের অ্যালার্ম যা নজরদারি চালাতে বিশেষভাবে সক্ষম।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বসল বিশেষ অ্যালার্ম
ইতিমধ্যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে উত্তেজনাপূর্ণ সম্পর্কের মাঝে নদীয়া থেকে শুরু করে মুর্শিদাবাদে বর্ডার সংলগ্ন এলাকায় বিএসএফের (Border Security Force) সংখ্যা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা সকলে দিনরাত নজরদারি চালাচ্ছেন সীমান্তে। এদিকে গোয়েন্দারা গোপন সূত্রে খবর পেয়েছে যে উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে অনুপ্রবেশ থেকে শুরু করে পাচারকারীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছে। বিশেষ করে যে কোনও মুহূর্তে অনুপ্রবেশ করতে পারে বলে মনে করছেন গোয়েন্দারা। যাইহোক, এবার কোনোরকম পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে সীমান্তে ইনস্টল করা হল ‘ইনফ্রারেড অ্যালার্ম’।
সীমান্তে বিশেষ নজরদারি
বিএসএফ সূত্রে খবর সীমান্তে উপর মহল থেকে বিশেষ নজরদারি রাখার নির্দেশ পেয়েছেন তাঁরা। যেকোনো মুহূর্তে কাঁটাতার পেরিয়ে অনুপ্রবেশ থেকে শুরু করে জিনিসপত্র পাচার হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে এখানে অবস্থাই এই ‘ইনফ্রারেড অ্যালার্ম’ বসানো খুবই জরুরী হয়ে পড়েছিল বলে খবর। ফলে যেমন ভাবা তেমন কাজ।
জানা গিয়েছে, মেখলিগঞ্জ সীমান্তেও নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার করতে আগে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। কয়েকটি জায়গায় ‘নাইটভিশন ড্রোন ক্যামেরা’ দিয়েও নজরদারি চালানো হচ্ছে। বিএসএফ জানিয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতিতে মেখলিগঞ্জ সীমান্তের মতো উন্মুক্ত সীমান্তের কয়েকটি জায়গায় ‘ইনফ্রারেড ইনট্রুডার অ্যালার্মও’ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিএসএফের জলপাইগুড়ি সেক্টরের ৪০ নম্বর ব্যাটেলিয়নের আওতাধীন কুচলিবাড়ি পঞ্চায়েতের কলসীপাড়া, বিআরকে বাড়ি-সহ কয়েক কিলোমিটার সীমান্তে ওই ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।