প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লী: কেন্দ্রীয় সরকার প্রায়ই মহিলাদের সুরক্ষা, নারী ক্ষমতায়নের কথা ভেবে এবং দেশবাসীর কল্যাণের কথা ভেবে নানারকম সমাজকল্যাণমুখী প্রকল্প বা যোজনা চালু করে থাকে। যেগুলি সমাজের প্রত্যেক স্তরের মানুষের কাছে অত্যন্ত লাভজনক হয়ে থাকে। আর সেই সকল লাভজনক এবং সুবিধাভোগী প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম হল ‘প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মানধন যোজনা’।
‘প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মানধন যোজনা’ কী? | PM Karam Yogi Mandhan Yojana
২০১৯ সালে ‘প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মানধন যোজনা’ প্রকল্প চালু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। অসংগঠিত শ্রমিক, যারা কোনও কোম্পানিতে কাজ করেন না কিন্তু অসংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন। তাদের জন্য, মোদী সরকার এই দুর্দান্ত প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মানধন প্রকল্প চালু করেছিল। এই প্রকল্পে নাম নথিভুক্ত করলে বৃদ্ধ বয়সে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা করে পেনশন দেওয়া হয়। অসংগঠিত ক্ষেত্রের সমস্ত শ্রমিকরাই ‘প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মানধন যোজনা’র সুবিধা নিতে পারেন। এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হল শ্রমিকদের ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করা। একটা বয়সের পর তাঁদের যেন টাকার জন্য অন্য কারও কাছে হাত পাততে না হয় তার জন্য এই ব্যবস্থা। একনজরে দেখে নেওয়া যাক এই প্রকল্পের সুবিধা এবং আবেদন করার সঠিক পদ্ধতি।
জানা গিয়েছে ‘প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মানধন যোজনা’ প্রকল্পের নিয়ম অনুযায়ী, অসংগঠিত ক্ষেত্রের ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সী শ্রমিকরা এই প্রকল্পে আবেদন করতে পারবেন। ধরে নেওয়া যাক, এই প্রকল্পের আওতায় একজন শ্রমিক প্রতি মাসে ২০০ টাকা জমা করেন, তাহলে কেন্দ্রীয় সরকারও তাঁর নামে ২০০ টাকা জমা করবে। কমপক্ষে ২০ বছর এই স্কিমে অবদান রাখতে হবে। এরপর শ্রমিকের ৬০ বছর বয়স হলে, সরকার তাঁকে প্রতি মাসে ৩ হাজার টাকা পেনশন দেবে। বার্ষিক পেনশন মিলবে ৩৬ হাজার টাকা।
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
এই প্রকল্পে আবেদনের জন্য বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের প্রয়োজন। আর সেগুলি হল আধার কার্ড, পাসপোর্ট সাইজ ফটো, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর অবশ্যই সেটি যেন আধারের নম্বরের সাথে লিঙ্ক করা থাকে এবং সংস্থার জিএসটি নম্বর।
আবেদনের প্রক্রিয়া
অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের কমন সার্ভিস সেন্টারে গিয়ে অনলাইনে ‘প্রধানমন্ত্রী শ্রম যোগী মানধন যোজনা’ স্কিমে অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। এর জন্য লাগবে আধার কার্ড এবং ব্যাঙ্কের বিশদ বিবরণ। অ্যাকাউন্ট খুলতেই প্রথমে রেজিস্টার্ড মোবাইল নম্বরে একটি মেসেজ আসবে। তারপর থেকে কিস্তির টাকা স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে কেটে নেওয়া হবে। তবে অ্যাকাউন্ট খোলার সময় প্রথম কিস্তির টাকা নগদ বা চেক মারফত জমা দেওয়াই নিয়ম।