শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ এমনও হতে পারে! উচ্চ মাধ্যমিকে এক সময়ে ৫৫ নম্বর পেয়েছিল ছাত্র। তবে দীর্ঘ ২ বছর সেই নম্বর বেড়ে দাঁড়ালো ৯০ -এ, অর্থাৎ লেটার মার্কস। আর এই অসম্ভবটা সম্ভব হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের জন্য। কলকাতা হাইকোর্টে এমন এক মামলা উঠেছিল আর যে রায় বেরিয়েছে সেটা সম্পর্কে শুনে সকলে রীতিমতো আকাশ থেকে পড়েছেন। একটি দীর্ঘ লড়াইয়ের পর, দু’বছরের ব্যবধানে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় এক ক্যানসারে আক্রান্ত শিক্ষার্থীর নম্বর ৫৫ থেকে ৯০ এ হয়েছে।
ঘটনাটি কী?
এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে ব্যাপারটা ঠিক কী? তাহলে জানিয়ে রাখি, কৃষ্ণনগরের বাসিন্দা বর্ষণ চক্রবর্তী ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া সত্ত্বেও ২০২২ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দেয়। লিখিত পরীক্ষায় ৮০ নম্বরের মধ্যে ৭৬ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দেয় সে। তবে সেই পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ্যে আসতেই চোখ কপালে ওঠে সকলের।
উচ্চ মাধ্যমিকেই ফল ঘোষণার পর দেখা যায়, বর্ষণ অঙ্কে মাত্র ৫৫ নম্বর পেয়েছে। তবে কিছুতেই সে এই নম্বর নিয়ে খুশি হয় না। তাঁর স্কোরকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আরটিআই দায়ের করেন তিনি। বিভিন্ন প্রক্রিয়া অনুসরণ করে তার ডুপ্লিকেট উত্তরপত্র দেখতে গিয়ে সে দেখতে পায় তাতে তিনটি অতিরিক্ত বা আলগা শিট নেই। এই সময়েই বর্ষণ বুঝতে পেরেছিল যে কিছু একটা গোলমাল হয়েছে। সে বুঝতে পারে তাঁর উত্তরপত্র কোনোভাবে হারিয়ে গেছে এবং সেগুলিতে নম্বর দেওয়া হয়নি। বর্ষণ উচ্চ মাধ্যমিক সংসদের কাছে দাবি করেন, অতিরিক্ত পাতায় যে অঙ্কগুলি তিনি করেছিলেন, তার নম্বর দিয়ে দেওয়া হোক। যদিও সংসদ তাতে রাজি হয়নি।
হাইকোর্টে মামলা ছাত্রের
এরপরেই পড়ুয়া হাইকোর্টে মামলা করে। অবশেষে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্যের নির্দেশে স্বস্তি পেল ওই ছাত্র, সেইসঙ্গে তাঁর মার্কশিট বদল করা হল।উচ্চ মাধ্যমিকে মোট ৩৯৭ পেয়েছিলেন বর্ষণ। এখন ৪৩২ নম্বর হয়েছে তাঁর। স্বাভাবিকভাবেই আদালতের রায়ে খুশি বর্ষণ।