প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: চলতি বছর এপ্রিল মাসে ২০১৬ সালের SSC র নিয়োগ প্রক্রিয়ার নানা দুর্নীতিমূলক তথ্য উঠে আসায় সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল করে দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির যৌথ ডিভিশন বেঞ্চ এই রায় দিয়েছিলেন। যার ফলে প্রায় ২৫,৭৫৩ জন শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর চাকরি চলে যায়। হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে রীতিমত ক্ষোভের অন্ধকার জন্ম নেয়।
ফের পিছিয়ে গেল ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলা
এরপর ওই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেখানে রাজ্য ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদও মামলা দায়ের করে। পাশাপাশি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন চাকরিহারাদের একাংশও। সেই মামলার শুনানি গত বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ৫ ডিসেম্বর হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ জানায়, পরবর্তী শুনানিতে মামলার সঙ্গে যুক্ত সকল পক্ষকে একসঙ্গে উপস্থিত থেকে বক্তব্য জানাতে হবে। এবং সেই সময় শুনানির দিন ধার্য করা হয় আজ অর্থাৎ ১২ ডিসেম্বর। কিন্তু সেই মামলা ফের পিছিয়ে গেল।
আদালতের তরফে কী জানানো হয়েছে?
পর পর দু’বার মামলার শুনানি পিছিয়ে যাওয়ায় চাকরি প্রার্থীদের মধ্যে নতুন করে শোরগোল তৈরি হয়েছে। সূত্রের খবর, আজ প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে চাকরি বাতিলের মামলা উঠলে এই যৌথ বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ১৯ ডিসেম্বর সকাল ১০ টায় এই মামলার শুনানি হবে। চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে এই মামলার শুনানিতে হাই কোর্টের নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি চন্দ্রচূড় জানিয়েছিলেন, তাঁর বেঞ্চ আগে চাকরি বাতিল মামলার সঙ্গে যুক্ত পাঁচ পক্ষ অর্থাৎ রাজ্য, SSC, CBI, মূল মামলাকারী এবং যাঁদের চাকরি নিয়ে বিতর্ক, তাঁদের বক্তব্য শুনবে। তার পরেই এ ব্যাপারে পরবর্তী নির্দেশ দেবে। কিন্তু তার পরে একাধিক বার শুনানির দিন বদলেছে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশেই CBI চাকরিহারাদের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাইয়ের কাজ শুরু করেছে। সিবিআই সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে ২৫ হাজারের বেশি চাকরিহারা শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের মধ্যে যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাইপর্ব হয়ে গেছে। ব্যক্তিগতভাবে প্রার্থীদের সাক্ষাৎপর্ব ও তথ্য সংগ্রহের কাজও প্রায় শেষ করে এনেছেন CBI আধিকারিকরা। এদিকে নবম থেকে দ্বাদশের শিক্ষক ও গ্রুপ বি, সি-তে কতজনকে নিয়োগ করা হয়েছে তার পুঙ্খানুপুঙ্খ তথ্য আদালতে জমা দিয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।