শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: আগের থেকে অনেক বেশি ঝাঁ চকচকে হয়েছে তিলোত্তমা। উত্তর কলকাতার সাবেকিয়ানার সঙ্গে দক্ষিণ ও নগর প্রান্তে গড়ে উঠেছে আধুনিক মল, বিল্ডিং, কমপ্লেক্স। উপার্জনের খোঁজে অনেকেই ছুটে আসেন এই কলকাতায়। সময়ের সঙ্গে তিলোত্তমা অনেক বদলেছে। নস্টালজিয়ার সঙ্গে মিলেছে আধুনিকতা। কলকাতাকে আরো সুন্দর করে তোলার জন্য সরকারের পক্ষ থেকেও অনেক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে; আগামী দিনে নিতে হবে আরো অনেক উদ্যোগ। এবার এক সমস্যা সমাধানে কেন্দ্র সরকারের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একটি প্রজেক্টে কাজ করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।
বড় উদ্যোগ কেন্দ্র-রাজ্যের
দারিদ্র দূরীকরণের লক্ষ্য নিয়ে শুরু হবে এই প্রজেক্ট। পার্কস্ট্রিট, গড়িয়াহাটের মতো জায়গায় এখনও রয়েছে বহু ফুটপাথবাসী। কোনো উন্নত শহরের জন্যই যা আদৰ্শ ছবি নয়। তাঁদের জীবন ধরণের মান উন্নত করার জন্য দরকার আর্থিক সাহায্য, সেই সঙ্গে হাতে চাই কাজ। এই সমস্যা সমাধান করার জন্য মহানগরে শুরু হবে পাইলট প্রজেক্ট। এই প্রজেক্টর নাম ‘আরবান ওয়েজ এমপ্লয়মেন্ট প্রোগ্রাম’।
মূলত বস্তিবাসীদের কর্মসংস্থানের জন্য চালু হবে ‘আরবান ওয়েজ এমপ্লয়মেন্ট প্রোগ্রাম’। এই উদ্যোগের বিষয়ে কলকাতা পুরসভার বস্তি বিভাগের মেয়র পারিষদ সদস্য স্বপন সমাদ্দার বলেছেন, “কলকাতাকে দারিদ্রতা থেকে মুক্ত করতে এই পাইলট প্রজেক্ট নেওয়া হচ্ছে। আপাতত ১৬টি বরোর মোট ১৬টি বস্তিতে এই প্রকল্পের কাজ করা হবে। আর্থিকভাবে পিছিয়ে থাকা পরিবারগুলিকে স্বনির্ভর করতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ব্যাঙ্ক থেকে স্বল্প সুদে ঋণ দেওয়া হবে। যাতে তাঁরা নিজেদের পায়ে দাঁড়াতে পারেন।”
উপকৃত হবেন বাংলার মানুষ
শুধু কলকাতা নয়, ভারতের অনেক বড় শহরে রয়েছে এই একই সমস্যা। জানা গিয়েছে, দেশের মোট ২৫টি বড় শহরে দারিদ্র দূর করার জন্য পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। “শহরে কয়েকশো বস্তি আছে। সেখানে হাজার হাজার মানুষ থাকেন। আমাদের সহ–নাগরিকদের সঙ্গে পার্থক্য ঘুচিয়ে তাঁদের সাবলম্বী করতে হবে”, বলেছেন স্বপন সমাদ্দার। কলকাতা পুরসভার কমিশনার ধবল জৈনকে এই প্রকল্পের চেয়ারম্যান করা হয়েছে। রাস্তা, ড্রেন, শৌচাগার নির্মাণের মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ কাজে বস্তিবাসীদের নিযুক্ত করা হতে পারে।