শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ মেট্রো (Kolkata Metro) পরিষেবা বর্তমান সময়ে কলকাতা শহর থেকে শুরু করে হাওড়াবাসীর প্রাণবিন্দু হয়ে উঠেছে। বর্তমান সময়ে কলকাতার শহর থেকে শুরু করে হাওড়ার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যাওয়ার ক্ষেত্রে আর চিন্তা করতে হয় না। কারণ সকলের সেই চিন্তা দূর করেছে কলকাতা মেট্রো। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। এই কলকাতা মেট্রোর দরুণ উত্তর থেকে দক্ষিণ পূর্ব থেকে পশ্চিম একসঙ্গে জুড়ে গিয়েছে। কিছু বছর আগের অবধি কলকাতা শহরে মাত্র একটি লাইন ছিল কিন্তু এখন বহু রূটে মেট্রো পরিষেবা মিলছে। আগামী দিনে আরো বেশ কিছু রুটে মেট্রো পরিষেবা শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। যেমন সম্প্রতি নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর অবধি যেটি কিনা লাইন হিসেবে খ্যাত রুটে মেট্রোর ট্রায়াল রান হয়ে গিয়েছে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ২০২৫ সালের মধ্যেই হয়তো এই রুটটিও খুলে দেওয়া হবে। কিন্তু এবার উঠে এল বারাসাত মেট্রো প্রসঙ্গে।
বারাসাত-নোয়াপাড়া মেট্রো
বড় আপডেট প্রকাশ্যে এল বারাসাত থেকে নোয়াপাড়া অবধি মেট্রো লাইন পরিষেবা নিয়ে। আপনি যদি বারাসাত কিংবা মধ্যমগ্রামের বাসিন্দা হয়ে থাকেন এবং এই মেট্রো রুটটি চালু হওয়ার জন্য দীর্ঘ অপেক্ষা করছেন তাহলে আজকের এ প্রতিবেদনটি রইল শুধুমাত্র আপনার জন্য।
অনেকেই হয়তো জানেন তো আবার অনেকেই হয়তো জানেন না যে বারাসাত থেকে নোয়াপাড়া অবধি মেট্রো পরিষেবা চালু হবে বলে জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রেলমন্ত্রী থাকাকালীন এই মেট্রো পরিষেবার সম্পর্কে সকলকে অবহিত করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তারপর থেকেই এই রুটে কাজ শুরু হয়েছে। তবে এখনো অবধি সেই কাজ হয়ে উঠতে পারেনি। তবে এবার এই কাজ নিয়েই প্রকাশ্যে এলো বড়সড় আপডেট। আর এই আপডেট দিয়েছেন মধ্যগ্রামের বিধায়ক রথীন ঘোষ। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। কবে এই রুটে মেট্রো পরিষেবা শুরু হবে তা সাফ সাফ জানিয়ে দিলেন বিধায়ক। যা শুনলে আপনিও হয়তো খুশিতে লাফাবেন।
কবে শুরু হবে মেট্রো পরিষেবা?
রথীন ঘোষ জানিয়েছেন, আগামী ২ বছরের মধ্যে এই কাজ শেষ হবে। এর ফলে উপকৃত হবেন কয়েক লক্ষ মানুষ। বিধায়ক জানিয়েছেন, প্রতিদিন প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষ যাতায়াত করতে পারবে। খাদ্যমন্ত্রী বলেন, “বারাসত-নোয়াপাড়া মেট্রো, ভায়া এয়ারপোর্ট ট্রায়াল হয়েছে। বিটি কলেজ পর্যন্ত কাজ হচ্ছে। আশা করি ২০২৬ সালে বারাসত পর্যন্ত মেট্রো আসবে। তাহলে নাগরিকদের আরও সুবিধা-স্বাচ্ছন্দ্য হবে, উপকার হবে।”
জানা গিয়েছে, প্রস্তাবিত এই রেল পথটি দুটি ভাগে বিভক্ত। প্রথমটি নোয়াপড়া স্টেশন, দমদম ক্যান্টনমেন্ট, যশোর রোড এবং বিমানবন্দর। মোট দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে ৬ কিলোমিটার। তার মধ্যে নোয়াপড়া স্টেশন, দমদম ক্যান্টনমেন্ট এই দুটি স্টেশন উত্তোলিত পথে, যশোর রোড স্টেশন ভূমিগত ও বিমানবন্দর স্টেশনটি ভূগর্ভস্থ থাকবে। এই অংশের নির্মাণকাজ শুরু হয়েছিল বিগত ৭-৮ বছর আগে। দ্বিতীয় অংশটি বিমানবন্দর থেকে বারাসত পর্যন্ত কমবেশি ১০কিলোমিটার দীর্ঘ। কিন্তু জমিজটের কারণে এই অংশে মেট্রোরেল সম্প্রসারণের কাজের সমস্যা তৈরি হয়েছিল। তবে সেই সমস্যাও মিটে যাবে বলে আশাবাদী সকলে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |