প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সকাল হতে না হতেই ফের কলকাতার একাধিক জায়গায় অভিযানে নেমেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। তবে এবার সেই তদন্তের মূলে রাজ্য সরকার বা সরকারি কোনো দুর্নীতি নয়। এবারের তদন্ত হল শহরে ব্যাঙ্ক প্রতারণা। যে সব এলাকায় গিয়েছেন তদন্তকারীরা সেখানে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্মীদের বাড়ি। আর সকাল সকাল এই অভিযানে তাই থমথমে গোটা শহর।
শহরের বুকে ফের তদন্ত অভিযান ED র
সূত্রের খবর, ২০২২ সালে SBI অর্থাৎ স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া-এর তরফ থেকে একটি প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেছে। প্রায় ৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। যার ভিত্তিতে এবার সেই তদন্তে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে তদন্তকারী সংস্থা ED। কনকাস্ট স্টিলের কর্ণধার ব্যবসায়ী সঞ্জয় সুরেকার বালিগঞ্জের ম্যান্ডেভিলা গার্ডেনের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। ইতিমধ্যে গড়িয়াহাট, দমদম ক্যান্টরমেন্ট এলাকায় হানা দিয়েছে তদন্তকারী অফিসারেরা।
উঠে এসেছে দুই ব্যবসায়ীর নাম
বিশেষ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়খণ্ডের একটি ব্যাঙ্ক প্রতারণা মামলায় প্রায় ৬০০ কোটি টাকা তছরুপের ঘটনায় ED বালিগঞ্জে কনকাস্ট স্টিলের কর্ণধার ব্যবসায়ী সঞ্জয় সুরেকার ম্যান্ডেভিলা গার্ডেনের বাড়িতে ব্যাঙ্ক প্রতারণার অভিযোগে তল্লাশি চালাচ্ছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অফিসাররা। শুধু তাই নয়, এর পাশাপাশি দমদম ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ব্যবসায়ী সঞ্জয় গুপ্তর ফ্ল্যাটেও হানা দিয়েছে ED। সঙ্গে রয়েছেন মহিলা অফিসাররাও। তবে তাঁদের বাড়ি থেকে কী কী গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এল সেই বিষয়ে এখনও কোনো স্পষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, বিগত কয়েক বছর ধরে রাজ্যে একাধিক প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিপুল টাকার প্রতারণা করা হয়েছে। কোথাও দেখা গিয়েছে ব্যাঙ্কে চাকরি দেওয়ার নাম করে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। তো কথাই আবার ভুয়ো কল সেন্টারে হানা দিয়ে ১০ মহিলা সহ ১৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। সল্টলেক সেক্টর ফাইভের মত জায়গায় রীতিমত অফিস খুলে ‘প্রতারণা’ চক্র চলেছিল। অর্থাৎ বলতে গেলে প্রতারণার জাল একেবারে ছড়িয়ে পড়েছে রাজ্যের রন্ধ্রে রন্ধ্রে।