পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ মাস তিনেক হল শ্রীলংকার নতুন প্রেসিডেন্ট হয়েছেন আনুর কুমারা দিশানায়েকে (Anura Kumara Dissanayake)। সম্প্রতি প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথমবার বিদেশ সফরে ভারতবর্ষে এসেছিলেন তিনি। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলির সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখার জন্যই এই সফর। দিল্লি সফরে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে দেখা করে বড় আশ্বাস দিলেন দিশানায়েকে।
দিল্লি সফরে শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট
দিল্লি সফরে এসে প্রেসিডেন্ট দিশানায়েকে জানান, শ্রীলঙ্কার মাটি ভারত বিরোধী কোনো কাজে ব্যবহার হতে দেওয়া হবে না। ভারত সাগর ও দক্ষিণে চীনের সাগরে যেখানে ক্রমাগত নিজের আধিপত্য বৃদ্ধির চেষ্টা করে চলেছে বেজিং সেখানে এই আশ্বাসবাণী বেশ গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক বলেন মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
এদিন দিল্লির হায়দারাবাদ হাউসে প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক করেন অনুরা দিশানায়েকে। তারপরেই মোদীজির সাথে যৌথ বিবৃতি দেন তিনি। শ্রীলঙ্কা প্রেসিডেন্ট জানান, আমি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছি যে ভারতের স্বার্থ বিরোধী কোনো কাজ আমাদের (শ্রীলঙ্কার) জমিতে হতে দেব না। ভারতের সাথে আমাদের সহযোগিতা আরো বাড়ানো হবে, আমি আবারও আশ্বাস দিতে চাই ভারতের প্রতি আমাদের ক্রমাগত সমর্থন নিয়ে।
শ্রীলঙ্কায় ভারত বিরোধী কাজ নয়
শ্রীলঙ্কাকে মোটা ঋণ দিয়ে সুদের বোঝা চাপিয়ে হামবানতোতা বন্দর একপ্রকার দখলের চেষ্টায় রয়েছে চীন। ইতিমধ্যেই বন্দরটিকে ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়েছে চীন। ভারতের আপত্তি সত্ত্বেও বন্দরে চীনের জাহাজ নোঙর করার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল শ্রীলঙ্কার তরফ থেকে। যেটা ভারতের দিক থেকে মোটেই কাম্য নয়। এছাড়া ওই বন্দরকেই ভারত মসসাগরে পেট্রোলিংয়ের জন্য ব্যবহার করছে চীন। যেটা দেশের প্রতিরক্ষার জন্য মোটেই ভালো খবর নয়। তবে শ্রীলঙ্কার মাটিতে ভারত বিরোধী কোনো কাজ হবে না বলেই আশ্বাস দিয়েছেন বর্তমান প্রেসিডেন্ট।
প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতিকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন দিশানায়েকের
যেমনটা আগেই জানানো হয়েছে, প্রথমবার বিদেশ সফরে রওনা হয়েছেন শ্রীলঙ্কান প্রেসিডেন্ট। ভারতে এসে নিজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে তিনি জানান, ‘প্রথম বিদেশ সফরে ভারতে এসে আমি খুবই খুশি। আমাকে আমন্ত্রণ করার জন্য ধন্যবাদ। আমার ও আমার দলের প্রতি উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য ভারতকে অনেক ধন্যবাদ।’ এখানেই শেষ নয়, প্রথানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির উদ্দেশ্যেও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
প্রসঙ্গত, ভারত সফরে এসে অতীতে আর্থিক সংকটের সময় ভারতের পাশে থাকার কথাও স্মরণ করেন দিশানায়েকে। তিনি জানান। ‘দু বছর আগে ব্যাপক আর্থিক সংকট দেখা গিয়েছিল। সেই সময় ভারতের তরফ থেকে ভীষণ রকম সাহায্য পেয়েছি। বিশেষ করে ঋণের বোঝার থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রীও নরেন্দ্র মোদী শ্রীলঙ্কাকে সর্বোতভাবে সমর্থনের আশ্বাসও দিয়েছেন।