প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের সকল মানুষের জন্য নানা জনহিতকর প্রকল্পের উদ্ভব ঘটিয়েছে। লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রকল্প থেকে শুরু করে স্বাস্থ্য সাথী সহ নানা সরকারী প্রকল্পের মাধ্যমে অনেক মানুষ আত্মনির্ভরশীল হতে পেরেছে। শুধু তাই নয় ছাত্র ছাত্রীদের জন্য নানা প্রকল্পের আয়োজন করেছেন। কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী থেকে শুরু করে একাধিক স্কলারশিপ এবং তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পে ট্যাব কেনার টাকা সবই করেছে সরকার। আর এই আবহে ছাত্র ছাত্রীদের পড়াশোনায় যাতে কোনো খামতি না আসে তার জন্য এক নয়া ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে।
ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বড় উদ্যোগ
সাধারণত নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য পাঠ্যবইয়ের পাশাপাশি দরকার পরে সহায়ক বই এর। বাজারে একই বিষয়ে বিভিন্ন লেখকদের একাধিক বই ও প্রশ্নোত্তর বই এর সম্ভারও রয়েছে। কিন্তু সেগুলির বেশিরভাগই অনেক দামি। দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের কাছে সেই বই কেনা খুবই কষ্টের। তাই সেই সমস্যা নির্মূল করতে এবং সহায়িকা বইয়ের অভাব পূরণ করতে নতুন উদ্যোগ নিল রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে এবার থেকে নবম, দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ এই চার শ্রেণির পড়ুয়াদের জন্য সহায়িকা বই প্রদান করবে রাজ্য সরকার। তাও আবার সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার বারাসতে বইমেলার উদ্বোধন করতে এসে রাজ্য সরকারের এই অভাবনীয় উদ্যোগের কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যের গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। আর এই ঘোষণা শুনে পড়ুয়ারা আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। এই বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসেছিলেন কবি শ্রীজাত। এছাড়াও ছিলেন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী, শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়, বারাসতের বিধায়ক চিরঞ্জিত চক্রবর্তী, জেলাশাসক শরদ কুমার দ্বিবেদী, পুরসভার চেয়ারম্যান অশনি মুখোপাধ্যায় সকলেই।
কী বললেন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী?
এদিন গ্রন্থাগার মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী জানান, “শিক্ষার মান উন্নয়নে নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ারা যদি সহায়ক বইয়ের জন্য সরকারি লাইব্রেরিতে আবেদন করেন তাহলে বিনামূল্যে সেই বই দেওয়া হবে।’ ছাত্রছাত্রীদের বিনামূল্যে পোশাক, জুতো, সাইকেল দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও সহায়িকা বই প্রদানের ব্যবস্থা ছাত্র ছাত্রীদের আরও উচ্ছসিত করেছে। তবে প্রথম পর্যায়েই সমস্ত স্কুলকে এই আওতায় নিয়ে আসা যাবে কিনা তা নিয়ে সংশয়ে রয়েছে গ্রন্থাগার দফতর। সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখে এই পরিকল্পনা এগোবে বলে তিনি জানিয়েছেন।