পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ হাজার হাজার ভিখারিদের নিয়ে বড় পদক্ষেপ নিল পাকিস্তান সরকার। অবশ্য এর পিছনে রয়েছে এক অদ্ভুত কারণ। জানলে অবাক হবেন, পাকিস্তান থেকে অনেকেই এমন রয়েছেন যারা ধার্মিক কারণে ভিসা অ্যাপ্রুভ করাচ্ছেন সৌদি আরবের। কিন্তু সেখানে গিয়ে আদতে ধর্মকর্মের বদলে করছেন ভিক্ষাবৃত্তি। তাই এবার সৌদি আরবের তরফ থেকে চাপ আসতেই কড়া সিদ্ধান্ত নিল দেশের প্রশাসন।
ভিখারিদের নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল পাকিস্তান সরকার
পাকিস্তানের সরকারের তরফ থেকে প্রায় ৪৩০০ ভিখারিকে নো-ফ্লাই লিস্টে যোগ করা হয়েছে। যার অর্থ হল ওই ব্যক্তিরা আর প্লেনে চেপে বিদেশে সফর করতে পারবেন না। পাকিস্তানের স্থানীয় পত্রিকার মতে, ধর্মকর্মের নাম করে বিদেশে গিয়ে অনেকেই ভিক্ষাবৃত্তি থেকে পকেটমারের মত কাজের সাথে যুক্ত হয়ে পড়েন। এর ফলে সৌদি আরবের তরফ থেকে পাকিস্তান সরকারকে জানানো হয়েছিল যেন আর ভিখারি পাঠানো না হয়। এবার সেই ভিত্তিতেও এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
কেন ব্যান হল পাকিস্তানি ভিখারিরা?
সৌদি আরবের মতে, পাকিস্তান থেকে আসা ভিখারিরা অনেকেই হজ বা মক্কা মদিনার কাছে ভিক্ষা করছেন। এমনকি মক্কা মদিনার কাছে গ্রেফতার হওয়া ৯০% পকেটমাররাই নাকি পাকিস্তানি বলে অভিযোগ। তাই দ্রুতই আরব এমিরেট ও অন্যান্য আরব দেশগুলিতে পাকিস্তানের ভিখারি পাঠানো বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাই দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন রোজা নাকভি জানান, চার হাজারেরও বেশি ভিখারিকে নো ফ্লাই লিস্টে যুক্ত করা হয়েছে।
ভিখারিদের বিরুদ্ধে নেওয়া হবে কড়া পদক্ষেপ
সৌদি আরবের আইন অনুযায়ী ভিক্ষা কর একটি শাস্তি যোগ্য অপরাধ। এদিকে সেখানে ধর্মীয় ভিসাতে গিয়ে ভিক্ষা করছেন বহু পাকিস্তানি ভিখারিরা। তাই যারা এমন কাজ করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। এখানেই শেষ নয়, জানা যাচ্ছে সৌদিতে জেলবন্ধি থাকা ৪১৯ জনকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থাও করা হয়েছে।