পুজোতে নয়, বাড়ানো হোক গরমের ছুটি! শিক্ষকদের দাবিতে তালিকা বদলাতে পারে পশ্চিমবঙ্গ সরকার

Published on:

government of west bengal

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত মঙ্গলবার ২০২৫-এর স্কুল স্তরে প্রাথমিকের বার্ষিক ছুটির ক্যালেন্ডার প্রকাশিত হয়েছিল। আর সেই ছুটির তালিকায় দেখা গিয়েছিল গরমের ছুটি বাড়েনি। অর্থাৎ গরমে ছুটি দেওয়া হয়েছে সেই নয় দিনই। কিন্তু এদিকে পুজোয় ছুটি দেওয়া হয়েছে ২৫ দিন। গতকাল অর্থাৎ বুধবার মধ্যশিক্ষা পর্ষদও ছুটির তালিকা প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, এ বার মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি থাকছে ১১ দিন। যেখানে গতবার গরমের ছুটি ছিল ১০ দিন। অর্থাৎ এক্ষেত্রেও বলা যায়, গরমের ছুটি কার্যত বাড়ছে না। এবং পুজোর ছুটি দেওয়া হয়েছে আগের বারের মতোই, ২৫ দিন।

তিনটি পর্ষদের ভিন্ন গরমের ছুটি

WhatsApp Community Join Now

কিন্তু গরমের ছুটির নিরিখে তিনটি পর্ষদের তিন রকম ছুটির দিনক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। আর সেই তিনটি পর্ষদ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ, মধ্যশিক্ষা পর্ষদ এবং মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ। জানা গিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের জন্য গরমের ছুটি চলবে ২ মে থেকে ১২ মে পর্যন্ত। মধ্যশিক্ষা পর্ষদের গরমের ছুটি দেওয়া হচ্ছে ১২ মে থেকে ২৩ মে পর্যন্ত। এবং মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদ এর ক্ষেত্রে গরমের ছুটি দেওয়া হচ্ছে ২৮ মে থেকে ৯ জুন পর্যন্ত। আর এই অভিন্নতার ক্ষেত্রেই উঠছে প্রশ্ন। কেন বার বার করে তিনটি পর্ষদের ক্ষেত্রে আলাদা আলাদা গরমের ছুটি দেওয়া হবে।

পুজোর ছুটি কমানোর দাবি শিক্ষকদের

এদিকে প্রতি বছর এপ্রিলের মাঝামাঝি তীব্র গরম পরে, আর তার জেরেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গরমের ছুটি ঘোষণা করে দেন আগে ভাগেই। গত বছরই গরমের ছুটি পড়েছিল ২১ এপ্রিল। স্কুল খুলেছিল ২ জুন। যদিও খাতায়-কলমে গরমের ছুটি মাত্র নয় থেকে ১১ দিন। সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত ছুটি বার্ষিক ৬৫ দিন ছুটির সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। তা হলে কেন প্রতি বছর ছুটির তালিকায় বলা হচ্ছে স্কুল বছরে ৬৫ দিন বন্ধ থাকবে। সরকারী ভাবে বলা হোক ৬৫ দিনের থেকেও বেশি হবে ছুটি। তাহলে যদি ছুটির দিন সংখ্যা নিয়ন্ত্রণে আনতে হয় পুজোর ছুটি কাটছাট করা হোক।

এই প্রসঙ্গে দ্য পার্ক ইনস্টিটিশন-এর প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজা বলেন, ‘‘ প্রতি বছরই গরমের তীব্রতার জন্য বাধ্য হয়েই বাড়তি ছুটি দিতে হয় পর্ষদকে। এ ক্ষেত্রে কোনও ভাবে যদি পুজোর ছুটির বিষয়কে নজরে রেখে গরমের ছুটিটাই ক্যালেন্ডারে বাড়িয়ে রাখা যায়, তা হলে হয়তো সুবিধা হবে স্কুলগুলির।’’ অনেকের মতে, পুজোর সময়ে, সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে অত্যধিক গরম থাকে না, আবার শীতও পড়ে না। ফলে সেই সময়ে ক্লাস করতে অসুবিধা হয় না। তাই পুজোর ছুটির দিন কমিয়ে দেওয়া হোক এমনই দাবি শিক্ষকদের।

সঙ্গে থাকুন ➥
X