প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ফের খবরের শিরোনামে সন্দেশখালির রেখা পাত্র। চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনে বসিরহাট কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী হিসেবে নাম উঠে এসেছিল রেখা পাত্রর। তবে থেকেই একের পর এক বিতর্কের সঙ্গে জুড়ে গিয়েছে তাঁর নাম। কিছুদিন আগেই মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সঙ্গে দ্বন্দ্ব বিতর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন রেখা। সেইসময় সরব হয়েছিলেন শুভেন্দুও। আর এই আবহে এবার বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রর দায়ের করা ইলেকশন পিটিশনে স্বতঃপ্রণোদিত রিপোর্ট দিয়ে আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল কেন্দ্রেরই রিটার্নিং অফিসার।
আসলে চলতি বছর সপ্তম দফায় বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচনের সময় বিজেপির পক্ষ থেকে বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবি তোলা হয়। সেই নির্বাচনে হাজি নুরুল এর কাছে ৩ লক্ষ ৩৩ হাজার ৫৪৭ ভোটে পরাজিত হন বিজেপির রেখা পাত্র৷ এদিকে ৪ লক্ষ ৭০ হাজার ২১৫ টি ভোট পেয়েছিলেন রেখা পাত্র। এই ফলাফলে বিপুল কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রেখা পাত্র।
রিটার্নিং অফিসারের প্রতি ক্ষুব্ধ হাইকোর্ট
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার, রেখা পাত্রর এই ইলেকশন পিটিশন মামলায় আদালতে স্বতঃপ্রণোদিত রিপোর্ট জমা পড়ে। সেই রিপোর্টে সাক্ষর রয়েছে রিটার্নিং অফিসারের। এদিকে মামলায় পক্ষভুক্ত না হয়েও রাজ্যের তরফে রিপোর্ট পেশ করেন ওই রিটার্নিং অফিসার। যা দেখে রীতিমত তেলে বেগুনে জ্বলে উঠলেন বিচারপতি কৃষ্ণা রাও। এদিন রেখার আইনজীবী অভিযোগ জানান যে রিটার্নিং অফিসার এখানে রাজ্য সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে হলফনামা দাখিল করছেন। কিন্তু তাঁর নিরপেক্ষতা বলে কিছু নেই। অফিসারের এই রূপ সক্রিয় ভূমিকা দেখে তাঁর কাছে লিখিত জবাবদিহি চেয়েছেন বিচারপতি কৃষ্ণা রাও। আর এর পরমুহুর্তেই, রাজ্যের তরফে হলফনামা প্রত্যাহার করে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয়।
পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করল আদালত
অবশেষে এদিন এই মামলা প্রসঙ্গে বিচারপতি কৃষ্ণা রাও জানিয়েছেন যে এই মামলার পরবর্তী শুনানি কবে হবে। জানা গিয়েছে তিনি আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৫ সালে ১৫ জানুয়ারি এই মামলার শুনানির দিন ধার্য করেছেন। এদিকে আবার বসিরহাটের বিজয়ী প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম কয়েক মাস আগেই ক্যানসার আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। ফলস্বরূপ ওই কেন্দ্রের উপ নির্বাচন এখনও বাকি। তাই এই মামলার নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত উপ নির্বাচন নিয়ে এখনও ঘোষণা করতে পারছে না নির্বাচন কমিশন।