কোটি কোটি টাকা বিনিময়! নিয়োগ কাণ্ডে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ নিয়ে নয়া তথ্য ED-র

Published on:

ed

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথম থেকেই নাম উঠে আসছিল লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার। তার সঙ্গে সঙ্গে নাম জড়িয়েছিল সেই সংস্থার ডিরেক্টর তথা তৃণমূলের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামও। এমনকি তিনি নিজেও স্বীকার করেছিলেন যে, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থা তাঁর তৈরি। অতীতে সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন তিনি। কিন্তু ২০১৪ সালে ভোটে দাঁড়ানোর সময় সেই পদ থেকে সরে যান। কিন্তু ফের দুর্নীতির ছায়া দেখা গেল এই সংস্থার আড়ালে।

WhatsApp Community Join Now

সম্প্রতি প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতে পঞ্চম সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট জমা দিয়েছে ইডি (Enforcement Directorate)। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, সেই চার্জশিটের শুরুতেই আছে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের নাম। ED দাবি করেছে যে, বেশ কিছু সংস্থা থেকে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্টে প্রচুর টাকা জমা পড়েছে। তবে যেই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে টাকা ঢুকছে ED মনে করছে, ওই সংস্থাগুলির সঙ্গে আদতে কোনও ব্যবসায়িক লেনদেন হয়নি লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের। এছাড়া রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীর নামে গড়া তহবিলের নামও রয়েছে সেই চার্জশিটে। মোট ২৯টি নাম যোগ করা হয়েছে এই নয়া চার্জশিটে। জড়িত রয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যও।

ভুয়ো ইনভয়েসের বিনিময়ে কোটি কোটি টাকা

সূত্রের খবর, চার্জশিটের ৫০ নম্বর পাতায় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্টে ‘লক্ষ্মী সাইকেল প্রাইভেট লিমিটেড’ থেকে ১ কোটি ৩৪ লক্ষ ৪ হাজার ৬৮১ টাকা, ‘নবীন এন্টারপ্রাইজ’ থেকে ১ কোটি ২৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ১৯৭ টাকা, ‘এগজটিক ইনভেনশন এন্টারপ্রাইজ’ নামে একটি সংস্থা থেকে প্রায় ১৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ‘ইন্টিগ্রেটেড ইনভেনশন ট্রেডিং’ সংস্থা থেকে ১০ লক্ষ ৪ হাজার ৫৫৮ টাকা জমা পড়েছিল। অর্থাৎ মোট ২ কোটি ৮৩ লক্ষ ২৬ হাজার ৪৩৫ টাকা জমা পড়েছিল বলে চার্জশিটে দাবি করেছে ইডি। সব সংস্থা থেকে ‘ভুয়ো’ ইনভয়েসের বিনিময়ে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠানো হয়েছিল।

নাম উঠেছে অনেক সংস্থার ডিরেক্টরদের

এছাড়াও ED র পঞ্চম চার্জশিটে উঠে এসেছে কয়েকজন উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিরও নাম। চার্জশিটে নাম রয়েছে বৌবাজারের চিরাগ অ্যাপ্লায়েন্স প্রাইভেট লিমিটেড এবং তার ডিরেক্টর সুবোধকুমার ছাজেরের নাম, বেঙ্গল মার্লিন হাউসিং লিমিটেড এবং তার অন্যতম ডিরেক্টর সুশীলকুমার মোহতা, দিলীপকুমার চৌধরী, গ্রিনটেক আইটি সিটি প্রাইভেট লিমিটেড এবং তার অন্যতম ডিরেক্টর উদয় মোদী। এছাড়াও নাম রয়েছে OMR শিট প্রস্তুতকারী সংস্থা এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি, নীলাদ্রি ঘোষ, পার্থ-ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার সন্তু গঙ্গোপাধ্যায়ের। এদিকে ২০২৩ সালে যুব তৃণমূলের সমাবেশে অভিষেক দাবি করেছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম বলানোর জন্য ধৃতদের ওপর চাপ দিচ্ছে ইডি, সিবিআই। এবার দেখার বিষয় ED র থেকে পাওয়া নথি বা তথ্যগুলি মামলায় কতটা নয়া মোড় আনে।

সঙ্গে থাকুন ➥
X