প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: এইমুহুর্তে খবর খুললেই দেখা যাচ্ছে কলকাতা সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে জাল নথি সহ জাল পাসপোর্ট পাওয়া যাচ্ছে। রীতিমত জাল পাসপোর্টের চক্র ছড়িয়ে রয়েছে আনাচে কানাচে। আর তাতেই ভুয়ো পাসপোর্ট নিয়ে চিন্তার শেষ নেই প্রশাসনের। উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। আর এই আবহে জঙ্গি আক্রমণের সম্ভাবনা দেখা গিয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।
৮ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার অসম পুলিশের
বাংলাদেশের পরিস্থিতি যতই অশান্ত হচ্ছে, উদ্বিগ্নতা তত ছড়াচ্ছে বাংলায়। কারণ সেখানে মৌলবাদী-কট্টরপন্থীদের দাপট বাড়ছে। একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। গত ১০ ডিসেম্বর আসাম পুলিশের এসটিএফের কাছে গোপন সূত্র মারফত খবর আসে যে বাংলাদেশ থেকে নাশকতা ছড়ানোর জন্য জঙ্গি ঢুকছে ভারতে। আর সেই খবর পেয়েই ইতিমধ্যেই অসম পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স ‘অপারেশন প্রঘাতে’ ১৬ ও ১৭ নভেম্বর বাংলা, কেরল এবং আসামে হানা দেয়। এই দুদিনে মোট ৮ জন জঙ্গিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সেখানে ধৃত ৮ জনের মধ্যে ২ জন মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা। একজনের নাম মহম্মদ আব্বাস আলি। তিনি থাকেন হরিহরপাড়ায়। অন্যজন হলেন মগুরার বাসিন্দা মিনারুল শেখ।
পশ্চিমবঙ্গে আক্রমণের ছক
আজ অর্থাৎ শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক করে এডিজি সুপ্রতীম সরকার জানান যে জঙ্গি সংগঠন আলকায়দার শাখা সংগঠন বাংলাদেশের ‘আনসারুল্লা বাংলা’ র সদস্য তাঁরা। সেই সংগঠনের প্রধান জসিমউদ্দিন রহমানির ঘনিষ্ঠ মহম্মদ ইসরাতের নির্দেশেই ভারতে অনুপ্রবেশ ঘটে তাঁদের। পুলিশ তদন্ত করে তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি মোবাইল, সিমকার্ড এবং নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে। আর সেই উদ্ধার হওয়া নথিগুলির মধ্যে বাংলা আক্রমণের মডিউল তৈরির ছক মিলেছিল। এই দুই জঙ্গির মূল উদ্দেশ্য ছিল নবপ্রজন্মের মগজধোলাই করা।
প্রসঙ্গত, ‘অপারেশন প্রঘাতে’ অসম পুলিশ দিনতিনেক আগে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে। আর তারপরই তল্লাশি চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় তাদের। এদিকে কেরল থেকে গ্রেফতার মহম্মদ শাদ রাদি নামে আরও এক জঙ্গি। ধৃত শাদ রাদি বাংলাদেশের রাজশাহির বাসিন্দা। এদের সকলের মূল উদ্দেশ্য ছিল ভারতে এসে ‘স্লিপার সেলে’র জন্য লোক নিয়োগের চেষ্টা। ধৃতদের ‘রিপোর্টিং ম্যানেজার’ ছিল বাংলাদেশে বসে থাকা ফারহান ইশরাক। আর তাতেই দায়িত্ববোধের প্রশ্ন উঠছে মুহাম্মদ ইউনূস এর বিরুদ্ধে।