শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ ফের একবার শিরোনামে উঠে এলেন মানিক ভট্টাচার্য। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে শাসক দলের বহু হেভিওয়েটের নাম জড়িয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম হলেন এই মানিক ভট্টাচাৰ্য (Manik Bhattacharya)। এমনকি জেলেও যেতে হয়েছিল। তবে এখন তিনি জামিনে মুক্ত রয়েছেন। তবে বাইরে বেরিয়েও যে একেবারে চিন্তামুক্ত সেটা নয়। বছর শেষ হওয়ার আগে এবার নতুন করে প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতির চাপ বাড়াল ইডি (ED)। এবার মানিকের বিরুদ্ধে ইডির হাতে এমন এক তথ্য উঠে এসেছে যারপরে সমস্যা বাড়তে পারে তাঁর। এখন নিশ্চয়ই ভাবছেন কী হয়েছে? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক ED
মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে এবার বেশ কয়েকবার এক অজানা ঠিকানায় ব্ল্যাক চেক পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে। এসএসসি দুর্নীতি মামলায় চার্জশিট পেশ করেছে ইডি। আর ইডি এই চার্জশিটে বিস্ফোরক দাবি করেছে। পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য একটি গোপন বিভাগ তৈরি করেছিলেন, যা পুরোপুরি তাঁর নিয়ন্ত্রণে ছিল। এই বিভাগের মাধ্যমে একাধিক গোপন লেনদেন ও নিয়োগ সংক্রান্ত কার্যকলাপ পরিচালিত হত। অনেকের নামে পাঠানো হত আস্ত ব্ল্যাঙ্ক চেক।
ইডির নজরে কার্যত বিগত কয়েক বছর ধরে চালানো গোপন বিভাগের তথ্য হাতে এসেছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের এই গোপন বিভাগের নাম ছিল ‘টেট কনফিডেনশিয়াল’। ২০১২ সালের পর থেকে এই বিভাগের মাধ্যমে একাধিক ‘কনফিডেনশিয়াল বিল’ তৈরি করা হত।
কী কী কাজ হত?
ইডির দাবি, গোপন বিভাগের জন্য যে বিল তৈরি হত, সেগুলির মধ্যে কোনও প্রাপক বা উদ্দেশ্যের উল্লেখ থাকত না। এছাড়া মানিক ভট্টাচার্য নিজে আরসি বাগচীর মাধ্যমে গৌতম পুততুন্ডের তৈরি বিলের ভিত্তিতে ব্ল্যাঙ্ক চেক ইস্যু করাতেন এবং তা অজানা ঠিকানায় পাঠাতেন।
অভিযোগ, ২০০০ সাল থেকে পর্ষদের হিসাবরক্ষকের কাজ করেছেন গৌতম পুততুন্ড। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ইডি জানতে পেরেছে, গোপন বিভাগের জন্য যে সমস্ত বিল বা রসিদ তাঁকে তৈরি করতে হত, সেগুলি অন্যান্য রসিদের চেয়ে আলাদা ছিল। কার উদ্দেশে রসিদ ইস্যু করা হচ্ছে, তার কোনও উল্লেখ থাকত না। মানিকই ছিলেন মূল মাথা। সরাসরি ওই রসিদগুলির কাজ দেখতেন তিনি।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |