পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ বড়দিনের আগেই বড় ঝামেলার নিস্পত্তি। বিগত ২০ দিন ধরে চলতে থাকা সমস্যার সমাধান হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (CM Mamata Baneree) হস্তক্ষেপের পরেই। ফলে বকেয়া বেতন পাওয়া নিয়ে আর কোনো অনিশ্চয়তা রইল না। বর্ষশেষের আগেই হাসি ফুটল পৌরসভার অস্থায়ী কর্মীদের মুখে। কি ঘোষণা এল? আর কাদের জন্য? জানতে আজকের প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে নিমেষে সমাধান
প্রায় ২০ দিন যাবৎ চুঁচুড়া-হুগলি পৌরসভার অস্থায়ী কর্মীদর আন্দোলনে নেমেছিলেন। কারণ বিগত দু মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না তারা। তাই বকেয়া বেতনের দাবিতেই শুরু হয় বিক্ষোভ ও আন্দোলন। মূলত যারা শহরের আবর্জনা পরিষ্কার করেন তাদের বেতন আটকে দেওয়া হয়েছিল। তবে এবার মুখ্যমন্ত্রীর দফতরের থেকে অরূপ ঘোষ ও ফিরহাদ হাকিমের তৎপরতার জেরে সমস্যা মিটেছে। বেতন মেলার আশ্বাস মিলতেই খুশি কর্মীরা।
ঋণ নিয়েই মেটানো হবে বেতন
যেমনটা জানা যাচ্ছে, দুমাস ধরে মাইনে না পাওয়ায় বিক্ষোভ শুরু হয় কর্মীদের মধ্যে। এরপর কাজের উপরেও প্রভাব পরে, শহরের বিভিন্ন এলাকায় নোংরা পরিষ্কার না হওয়ায় রীতিমত স্তূপ জমে যায়। তবে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে ৩ কোটি টাকার লোন পাওয়া গিয়েছে। সেই টাকা দিয়েই অস্থায়ী কর্মীদের বেতন দেওয়া হবে বলে খবর মিলেছে। এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর ও প্রশাসনের সাথে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক হয়। সেখানেই সমস্যার সমাধানের দায়িত্ব দেওয়া হয় চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারকে।
পরবর্তীতে বিধায়ক মশাই পুরপ্রধান থেকে শুরু করে আরও একাধিক জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে একটি স্থানীয় বৈঠকে সমাধান বের করেন। রাজ্যের তরফ থেকে তিন কোটি টাকার লোন মিলেছে যেটা দিয়েই বেতন মেটানো হবে বলে জানা গিয়েছে। তাছাড়া ভবিষ্যতে এই সমস্যার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য পুরসভার আয় বাড়ানোর উপরেও ফোকাস করা হবে।
কি বলছেন চেয়ারম্যান অমিত রায়?
বকেয়া বেতনের জেরে আন্দোলন প্রসঙ্গে চেয়ারম্যান অমিত রায় জানান, ‘পুরসভার আর্থিক সমস্যা আছে, তাই বেতন দিতে দেরি হয়েছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানাই তিনি দুমাসের বেতনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তবে আগামী মাসের বেতন পুরসভাকেই ব্যবস্থা করতে হবে। কিভাবে আয় বাড়ানো সম্ভব সেটা নিয়ে আমরা আলোচনা করছি।