প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গতকাল বিকেল থেকেই ঝিরিঝিরি বৃষ্টি হয়েই চলেছে দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) বেশ কিছু জেলায়। যদিও অনেক আগেই হাওয়া অফিস জানিয়েছিল যে নিম্নচাপ এবং পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে দুইদিন দক্ষিণবঙ্গে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এবং এই দুর্যোগ শীতের পথে বড় বাধা হতে পারে, তাপমাত্রা কোমর পরিবর্তে উল্টে ২-৩ ডিগ্রি বাড়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিল হাওয়া অফিস। তাই এবার পৌষের শুরুতেও মন মরা রাজ্য বাসীর। ভরা ডিসেম্বরে কার্যত উধাও কনকনে শীত। কবে থেকে তাহলে জাঁকিয়ে পড়বে শীত? বড় প্রশ্নের মুখে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
আর তার জেরেই আজও দক্ষিণবঙ্গের আট জেলায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। জানা গিয়েছে ভোর রাত থেকেই আজ কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, ঝাড়গ্রামে, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরে হালকা বৃষ্টি হয়েই চলেছে। একের পর এক নিম্নচাপ এবং পশ্চিমী ঝঞ্ঝার জেরে আটকে রয়েছে উত্তুরে হাওয়া। তার ফলে পৌষ পরে গেলেও জাঁকিয়ে ঠান্ডার রেশ নেই। এদিকে বৃষ্টির পরেও যে তাপমাত্রা খুব একটা নামার সম্ভাবনা আছে তাও নেই। অর্থাৎ বড়দিনে শীতের আমেজ থাকলেও জাঁকিয়ে শীত নয়, এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে বছর শেষের আগে একটু একটু করে পারদ কমবে বলে আশা।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গে দার্জিলিং এবং কালিম্পং এর উঁচু পার্বত্য এলাকায় হালকা তুষারপাতের সামান্য সম্ভাবনা রয়েছে। সিকিমেও তুষারপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। তার প্রভাব পড়তে পারে সংলগ্ন উত্তরবঙ্গের পার্বত্য এলাকায়। ঘন কুয়াশার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তবে উত্তরের বাকি জেলা শুষ্ক থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস।
যে সকল জেলায় ঘন কুয়াশার জন্য সতর্কতা জারি করা হয়েছে সেগুলি হল দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহ। জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। কুয়াশার মাত্রা এতটাই বাড়বে যে সেখানে দৃশ্যমানতা নামতে পারে ৫০ মিটারে।