ঝাড়গ্রাম থেকে পুরুলিয়ায় প্রবেশ জিনতের, বাঘিনীকে বাগে পেতে ঘাম ছুটছে বন দফতরের

Published on:

tigress zeenat

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ধীরে ধীরে এবার ঝাড়খণ্ডের চাকুলিয়া থেকে বাঘিনি জিনাত ঢুকে পড়ল বাংলায়। গত শুক্রবার সকালে বেলপাহাড়ি রেঞ্জের ওদলচুয়া সংলগ্ন মাছগেড়িয়া জঙ্গলে ঢুকেছিল জিনাত। তখনই বনকর্মীরা আশা করেছিল যে এই জঙ্গল থেকে ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর হয়ে বাঁকুড়ায় পৌঁছে যেতে পারে এই বাঘিনী। এমনকি জঙ্গল পেরিয়ে লোকালয়ে প্রবেশ করাও যে অসম্ভব কিছু নয় তাও ধরে নেওয়া হয়েছিল। আর সেই সম্ভাবনাই এবার বাস্তবে রূপ নিতে চলেছে। ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, ঝাড়গ্রামের বেলপাহাড়ি হয়ে রবিবার ভোরে বাঘিনি পৌঁছে গিয়েছে পুরুলিয়ার রাইকা পাহাড় এলাকায়।

পুরুলিয়ায় প্রবেশ জিনাত এর | Zeenat in Bengal |

WhatsApp Community Join Now

সূত্রের খবর, পুরুলিয়ার রাইকা পাহাড় এলাকা ঘন অরণ্যে ভরপুর। ধীরে ধীরে এই বাঘিনী আরও ঘন অরণ্য এবং আরও উঁচু পাহাড়ে চলে যাওয়ায় বাঘটিকে ধরা আরও কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে বন দফতরের পক্ষে। ইতিমধ্যে পুরুলিয়া জেলা বন দফতরের আধিকারিক থেকে কর্মীরা পৌঁছে গিয়েছেন ঘটনাস্থলে। চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এলাকা জুড়ে। তবে একদিক দিয়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন ঝাড়গ্রামের সাধারণ মানুষ। রিপোর্ট সূত্রে জানা যাচ্ছে গতকাল অর্থাৎ শনিবার সকালে, কটাচুয়ার জঙ্গল থেকে কাঁকড়াঝোড় ও ময়ূরঝর্ণার জঙ্গলে ঢুকেছে সে। সেখানে বনকর্মীরা তন্নতন্ন করে খুঁজেও তার হদিস পাননি। তার পর থেকেই জিনতের অবস্থান জানতে পারছিলেন না বনকর্মীরা।

কিন্তু এদিকে জিনত তার উপস্থিতির আভাস দিচ্ছে সকলকে কিন্তু নাগাল খুব সহজে পাওয়া যাচ্ছে না। এদিকে বন দফতরে দেখা যাচ্ছে বাঘিনির হদিস পেতে GPS ট্র্যাকার হাতে নিয়ে বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে সন্ধান চালাচ্ছে কর্মীরা। একেবারে যাকে বলে চিরুনি তল্লাশি। কিন্তু কোথাও কিছুই মিলছে না। এদিকে আবার জিনতের মতো যমুনা নামে আরও একটি বাঘ তার দাপট দেখিয়ে চলেছে। জিনত ঝাড়খণ্ড ছাড়লেও যমুনা এখনও রয়েছে ঝাড়খণ্ডে। এই বাঘকেও মহারাষ্ট্রের তাডোবা অন্ধেরি টাইগার রিজার্ভ ফরেস্ট থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল কিন্তু ১৫ ডিসেম্বর নাগাদ বন দফতর এর নাগাল থেকে বেরিয়ে জঙ্গলে চলে গিয়েছে।

কী বলছেন বনমন্ত্রী?

এই প্রসঙ্গে রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা জানিয়েছেন, ‘আমরা নিশ্চিত যে বাঘটি আমাদের রাজ্যে ঢুকে পড়েছে। তাই আমরা নিরাপত্তার খাতিরে ইতিমধ্যেই জঙ্গল সংলগ্ন এলাকায় মাইকে প্রচার শুরু করেছি। সব পদক্ষেপ করা হচ্ছে। অহেতুক আতঙ্কের কারণ নেই, তবে সতর্ক থাকতে হবে।’

সঙ্গে থাকুন ➥
X