প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: তুষারধসে আটকে পড়া মানুষের জীবন রক্ষা করা থেকে শুরু করে ল্যান্ডমাইন শনাক্তকরণ, এমনকি সন্দেহজনক জায়গা থেকে বিস্ফোরক খুঁজে বের করে এলাকা নিরাপদ রাখা এবং ঘ্রাণশক্তিকে কাজে লাগিয়ে সঠিক অপরাধীকে শনাক্ত করে থাকে সেনাবাহিনীর কুকুরগুলি।। সব মিলিয়ে সেনাবাহিনীর কুকুরদের সাহস ভারতীয় সেনাবাহিনীকে প্রতি পদে যুদ্ধের সামিয়ানায় সাহায্য করে চলেছে। কারোর থেকে কেউ কম যায় না। দেশকে সমস্ত শত্রুদের হাত থেকে রক্ষার্থে বেশ উদ্যোগী তারা। তবে এ বার অবসর নেওয়ার পালা। কিন্তু অবসর নিয়ে এবার সেনাবাহিনীর কুকুরগুলি নতুন কাজে নিযুক্ত হতে চলেছে ।
১২ টি অবসরপ্রাপ্ত কুকুরগুলির ওপর নয়া দায়িত্ব
জানা গিয়েছে বিশেষ প্রশিক্ষণ এবং অটল উৎসর্গে সজ্জিত, এই বিস্ময়কর কুকুরগুলি এখন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের শিশুদের স্কুল এবং সমাজের নাগরিকদের সাথে জীবনের একটি নতুন অধ্যায় শুরু করতে চলেছে। ২৪৬ তম রিমাউন্ট ভেটেরিনারি কর্পস দিবসে, ভারতীয় সেনাবাহিনী আশা স্কুল এবং অনেক সাধারণ নাগরিককে ১২ টি অবসরপ্রাপ্ত কুকুর দান করতে চলেছে। বিশেষ সূত্রে জন্য যাচ্ছে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই ১২টি অবসরপ্রাপ্ত সামরিক কুকুরকে সেনা কর্মীদের গৃহিণীদের দ্বারা পরিচালিত আশা স্কুলগুলিকে দান করা হচ্ছে। সাধারণত এই ধরণের আশা স্কুলগুলি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের শিক্ষা ও পরিচর্যা প্রদান করে।
থেরাপিউটিক সঙ্গী হিসেবে থাকবে এই সারমেয়রা
তাই সেই সকল বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সামাজিক, মানসিক দক্ষতা বৃদ্ধি করতে এই অবসরপ্রাপ্ত ও প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুকুরগুলিকে ব্যবহার করা হতে চলেছে। কুকুরের উপস্থিতি বিশেষ শিশুদের জন্য আশীর্বাদ হিসাবে বর্তাবে। অন্যদিকে তাদের শান্ত এবং স্নেহময় প্রকৃতির কারণে, তারা শিশুদের জন্য বিস্ময়কর থেরাপিউটিক সঙ্গী হিসেবে নিজেদের তুলে ধরবে। এছাড়াও ভারতীয় সেনাবাহিনী অবসরপ্রাপ্ত কুকুর এবং ঘোড়াগুলির জন্য একটি বিশেষ জেরিয়াট্রিক সেন্টার রয়েছে সেখানে বৃদ্ধ কুকুরদের বিশেষভাবে যত্ন নেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।