পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ রাজ্যের শিক্ষার্থীদের জন্য একগুচ্ছ প্রকল্প আনা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে। বিনামূল্যে স্কুলের ড্রেস, ব্যাগ, বই থেকে শুরু করে সবুজ সাথীর সাইকেল ও মাধ্যমিকের পরেই ট্যাব দেওয়া হয়। এছাড়াও বেশ কিছু স্কলারশিপ রয়েছে যাতে আর্থিক সাহায্য পায় গরিব মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা। তবে এবার বড়দিনে আরও এক প্রকল্পের ঘোষণা এল রাজ্য সরকারের তরফ থেকে।
ছাত্রছাত্রীদের জন্য নতুন প্রকল্প ঘোষণা রাজ্য সরকারের
বর্তমনে সময়ে দাঁড়িয়ে সব কিছুর মত পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় বই খাতার দামও বেড়েই চলেছে। তাই সরকাররের তরফ থেকে চালু করা হয়েছে ‘শিক্ষাসাথী’ প্রকল্প। এর মাধ্যমে ছাত্রছাত্রীদের বাজারের তুলনায় কম দামে খাতা দেওয়া হবে। স্বাভাবিকভাবেই এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর হাসি ফুটেছে পড়ুয়া থেকে শুরু করে অভিভাবকদের মুখে।
শিক্ষাসাথী প্রকল্পের সুবিধা
যেমনটা জানা যাচ্ছে রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের তরফ থেকে এই খাতা তৈরী করা হবে। আপাতত তিন ধরণের খাতা কিনতে পাওয়া যাবে। খাতার মধ্যেই সরকারের দ্বারা প্রদত্ত বিভিন্ন সামাজিক প্রকল্প ও তার সুবিধা সম্পর্কে লেখা থাকবে। ‘শিল্পবার্তা প্রিন্টিং প্রেস লিমিটেড’ থেকেই এই খাতা ছাপানো হবে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। কারণ আগে এই প্রেস থেকে রাজ্য সরকারের অনেক কিছু ছাপানো হলেও বর্তমানে সরস্বতী প্রেসেই বেশিরভাগ কাজ হয়। তবে এবার প্রেসের আধুনিকীকরণ করে সেখানেই নতুন খাতা তৈরী করা হবে।
কত টাকায় মিলবে সরকারি খাতা?
বাজারে বিক্রি হওয়া খাতার তুলনায় অনেকটাই কম দাম শিক্ষাসাথী খাতার এমনটাই জানা যাচ্ছে। মোট তিন ধরণের খাতা বিক্রি করা হবে। যার মধ্যে দুই প্রকার ১০০ পাতার খাতা থাকবে, যেগুলো ৭০ টাকা করে বিক্রি হবে আর ১০০ পাতার একটা খাতা বিক্রি হবে যেটা মাত্র ৩৭ টাকায় কেনা যাবে। তবে দামে কম হলেও মানে কিন্তু একেবারে ভালো। আর পাঁচটা প্রিমিয়াম কোয়ালিটির খাতার মতোই কোয়ালিটি বজায় রাখা হবে বলে জানা যাচ্ছে।
প্রসঙ্গত, সরকারি এই খাতাগুলি আপাতত মঞ্জুষা স্টল থেকে কনজিউমার কো-অপারেটিভ ফোরাম ও সরকারি মেলাতে কিনতে পাওয়া যাবে। তবে আগামী দিনে রেশন দোকানেও এই খাতা কিনতে পারবেন সাধারণ মানুষেরা। এমনটাই জানালেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা।