প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ২০২৪ প্রায় শেষের পথে। কিন্তু এই বছরের শুরু থেকেই বেশ লক্ষীলাভ হয়েছিল কেন্দ্রীয় কর্মীদের। জানুয়ারি থেকেই প্রতিশ্রুতি এবং নিয়ম মেনেই কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) ৪ শতাংশ বাড়িয়ে ৪৬ থেকে ৫০ শতাংশ করা হয়েছিল। আর তাতে বেজায় খুশি হয়েছিল সকলে। আর কয়েক মাস ঘুরতেই কেন্দ্রীয় কর্মীদের DA এর পরিমাণ আরও বাড়ানো হয়েছে। জানা গিয়েছে দীপাবলীর আবহে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের DA এর পরিমাণ একধাক্কায় ৩ শতাংশ বাড়িয়ে দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে DA এবং DR এর পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৩ শতাংশে। অন্যদিকে হতভাগ্য পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীরা।
সরকারী কর্মীদের জন্য প্রকাশ করা হল মেমো!
এইমুহুর্তে পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যের সরকারী কর্মীদের বর্তমানে ১৪ শতাংশ হারে DA দিচ্ছেন। যার ফলে কেন্দ্রীয় কর্মীদের সঙ্গে রাজ্যের কর্মচারীদের DA-র ফারাক যেন আরও বেড়েই চলেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষবার DA এর পরিমাণ বাড়িয়েছে চলতি বছর লোকসভা নির্বাচনের পর। তাই ডিএ আন্দোলনকারীদের দাবি, প্রাপ্য আরও ৩৯ শতাংশ DA দিতে হবে রাজ্যকে। যার জেরে একের পর এক ধর্না এবং প্রতিবাদ সভা গতে তুলছে সংগ্রামী মঞ্চ। কিন্তু এসবের মাঝেই সরকারী কর্মীদের এক বড় দাবি মেনে নিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। কর্মীদের জন্য সম্প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ মেমো প্রকাশ করা হল অর্থ দফতরের তরফ থেকে।
অ্যাপ্রেসাল রিপোর্টের মূল্যায়নের সময়সীমা বৃদ্ধি
এর আগে সরকারের বিভিন্ন দফতর থেকে রাজ্য সরকারকে আবেদন করা হয়েছিল যে হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে অনলাইনে যে সব সেলফ অ্যাপ্রেসাল রিপোর্ট জমা পড়েছে, অর্থাৎ ২০১৮-১৯ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের অ্যাপ্রেসালের জন্যে যেই সকল রিপোর্ট এখনও পড়ে রয়েছে সেগুলি রিপোর্টিং অফিসারের দ্বারা জমা দেওয়ার জন্যে সময়সীমা যাতে বাড়ানো হয়। আর এবার অবশেষে সেই সিদ্ধান্তে সবুজ সংকেত দিল অর্থ দফতর। অর্থাৎ অ্যাপ্রেসাল রিপোর্টের মূল্যায়নের সময়সীমা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার।
ইতিমধ্যেই এই সংক্রান্ত বিষয়ে সরকার জানিয়েছে, সেলফ অ্যাপ্রেসাল রিপোর্ট মূল্যায়নের ক্ষেত্রে ‘অফিসার রিপোর্টেড আপন’-কে ১ জানুয়ারির মধ্যে তাঁর রিপোর্ট জমা দিতে হবে। এবং সেলফ অ্যাপ্রেসাল রিপোর্ট মূল্যায়নের জন্যে রিপোর্টিং অফিসারকে আগামী ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও রিভিউয়িং অফিসারের জন্যে এই কাজের সময়সীমা ২৭ জানুয়ারি করা হয়েছে। অন্যদিকে অ্যাক্সেপ্টিং অফিসারের ক্ষেত্রে কাজ শেষ করার সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ জানুয়ারি করা হয়েছে। যার ফলে বেশ নিশ্চিন্ত হল সরকারী অফিসারেরা।