প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: স্থানীয় এলাকায় এখন রমরমিয়ে ডানা গজিয়েছে লটারির (Lottery) দোকান। কেউ বা আবার বেআইনিভাবে বেশ চালাচ্ছে লটারির দোকান। এই নিয়ে যদিও নানা কটাক্ষের মুখে পড়তে হয় শাসক দলকে। অভিযোগ ওঠে যে এই লটারির এইরূপ গজানোর পিছনে রাজ্য সরকারের হাত রয়েছে। আর এই আবহে এবার ঘটল এক চমকপ্রদ ঘটনা। খোদ তৃণমূলের পার্টি অফিসেই এবার রমরমিয়ে চলছে লটারির দোকান।
ঘটনাটি কী?
সূত্রের খবর, গত শনিবার রাতে এক দলীয় কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল বর্ধমান শহরের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। সেখানে যোগদান করতে গিয়েছিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। তখনই তিনি দেখেন তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের ঘরে একটি লটারির দোকান জাঁকিয়ে বসেছে। সঙ্গে সঙ্গে দোকানদারকে ডেকে ধমক দেন তিনি। এবং বলেন পার্টি অফিস কারও ব্যক্তিগত জায়গা নয়। অবিলম্বে তাঁকে দোকান অন্যত্র জায়গায় সরাতে হবে। এবং ১ ঘণ্টার মধ্যে লটারির দোকানের বোর্ড খুলে ফেলতে হবে।
এদিকে এই পার্টি অফিস যিনি ভাড়া দিয়েছেন তাঁর দাবি, অনেকদিন আগে এটি পার্টি অফিস ছিল। কিন্তু এখন আর কেউ এই পার্টি অফিসে আসে না। তাই বাবা ঘরটি এক লটারি বিক্রেতাকে ভাড়া দিয়েছেন। সেই ভাড়াটিয়া মাসে ৪ হাজার টাকা করে ভাড়া দেন। কিন্তু যেহেতু সেখানকার বিধায়ক খোকনবাবু স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে পার্টি অফিস কারোর ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়, তাই বোঝা যাচ্ছে ওই জায়গাতেই থাকবে তৃণমূলের পার্টি অফিস। সেখানে যাতায়াত করবেন তৃণমূল কর্মীরা।
বিধায়কের প্রশংসায় পঞ্চমুখ সকলে
বিধায়ক খোকন দাস এর এই কাজে বেশ প্রশংসা করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতা উত্তম সেনগুপ্ত। তিনি সংবাদ মাধ্যমে বলেন, “আমি বিধায়ককে ধন্যবাদ জানাবো যে তিনি তার কর্তব্য ও দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করেছেন। অনেকদিন ধরেই এটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। আমিও প্রতিবাদ করেছিলাম, কিন্তু গুটিকয়েক মানুষ তাদের নিজেদের স্বার্থের জন্য এসব করছে। প্রতিবাদের কোনো ধারে কাছে যায়নি তাঁরা। স্থানীয় এলাকার মানুষেরাও বেশ প্রশংসা করেছে বিধায়কের।