প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: মূল্যবৃদ্ধির চাপে একেবারে নাজেহাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। সামান্য ডাল ভাত খেতে গেলেও পকেট থেকে খসছে গাদা গুচ্ছের টাকা। তার উপর ওষুধের দামও ঊর্ধ্বমুখী। কিন্তু দিন যত এগোচ্ছে ততই যেন বেড়ে চলেছে সোনার দাম। আর সোনার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে পেট্রোল ডিজেলের (Diesel Fuel) দামও। আসলে জীবনযাপনের সঙ্গে ওতপ্রোত ভাবে জড়িয়ে জ্বালানি। তাই রোজকার প্রয়োজনে হোক বা কৌতূহলের বশে- পেট্রল- ডিজেল এবং রান্নার গ্যাসের দামে নজর রাখতেই হয়। তবে সম্প্রতি জানা গিয়েছে আগত বাজেটের পরই নাকি কমতে চলেছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। পাশাপাশি কমতে চলেছে ট্যাক্সের হারও।
পেট্রোল-ডিজেলের দামে এক্সাইজ ডিউটি কম রাখার আবেদন
জানা গিয়েছে, দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার গতি আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে কনফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান ইন্ডাস্ট্রিস বা CII এক গুরুত্বপূর্ণ আবেদন করেছে। সেই আবেদন পত্রে সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে পেট্রোল-ডিজেলের উপর থেকে শীঘ্রই এক্সাইজ ডিউটি যেন কম করা হয়। পাশাপাশি দিনের পর দিন সাধারণ মানুষের উপর একাধিক করের বোঝা চাপানো হচ্ছে কেন্দ্রের তরফ থেকে। তাই সেই সমস্ত করের বোঝা কমানোরও আবেদন জানানো হয়েছে।
এইমুহুর্তে কেন্দ্রের যে মোট এক্সাইজ ডিউটি তা হল পেট্রোলের মোট দামের ২১ শতাংশ ও ডিজেলের দামের ১৮ শতাংশ। ২০২২ সালে আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ৪০ শতাংশ কমলেও জ্বালানীর দাম একদমই কমেনি। সেক্ষেত্রে CII এর মতে, এক্সাইজ ডিউটি যদি কম করা হয় তাহলেই মূদ্রাস্ফিতি কমবে। কারণ জ্বালানীর বাড়তি দামের কারণে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে প্রতিটি পরিবারের ক্রয় ক্ষমতা কমছে। আর এর ভিত্তিতে ই উঠে এসেছে ব্যক্তিগত কর এবং বাণিজ্যিক করে।
কমানো হবে ব্যক্তিগত কর?
বর্তমানে পরিসংখ্যান এর রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছি ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ কর ৪২.৭৪ শতাংশ। অন্যদিকে, করপোরেট কর ২৫.১৭ শতাংশ। এই দুটি করের হার এর পার্থক্য অনেকটাই বেশি। তাই ঠিক করা হয়েছে আগত বাজেটে ব্যক্তিগত করের হার কম করা হতে পারে। তার সঙ্গে সঙ্গে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিয়ে জ্বালানির দামও কম করার কথা বিবেচনা করতে পারে মোদী সরকার।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |