‘বাংলাদেশি অনুপ্রেবেশকারীকে পঞ্চায়েত প্রধান বানিয়েছে তৃণমূল!’ হাইকোর্টে চলছে মামলা

Published on:

bangladesh

প্রীতি পোদ্দার, মালদা: রাজ্যে বাংলাদেশের অনুপ্রবেশের ঘটনা নিয়ে সরগরম রাজনীতির ময়দান। চিন্তার ভাঁজ চওড়া হয়েছে প্রশাসনের। কলকাতার সহ পশ্চিমবঙ্গের একাধিক জেলায় মিলছে জাল পাসপোর্টের নানা তথ্য। একে অপরের ঘাড়ে দোষ চাপাতেও ছাড়ছে না বিজেপি এবং তৃণমূল। কেন্দ্রকে একদিকে দুষছে তৃণমূল। অন্যদিকে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে বিরোধী বিজেপি। তবে এই অভিযোগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিজেপি দাবি করেছে যে মালদা জেলায় বাংলাদেশি এক অনুপ্রবেশকারীকে তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের পদে বসিয়েছে দল। বিধানসভা নির্বাচনের আগে বড় ঝড় রাজ্যে।

গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান একজন বাংলাদেশ অনুপ্রবেশকারী!

WhatsApp Community Join Now

জানা গিয়েছে, মালদার রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হলেন লাভলি খাতুন। কিন্তু লাভলির আসল নাম নাসিয়া শেখ। বাড়ি বাংলাদেশে। অভিযোগ উঠছে তিনি নাকি অবৈধভাবে পাসপোর্ট ছাড়াই ভারতে ঢোকেন। এরপর নিজের এবং বাবার নামও বদলে ফেলেন। ২০১৫ সালে নাকি ভারতে তাঁর ভোটার কার্ড ইস্যু হয়। এবং ২০১৮ তে ইস্যু হয় বার্থ সার্টিফিকেট। নথিতে প্রথমে নাসিয়ার বাবার নাম ছিল শেখ মুস্তাফা। বর্তমান নথিতে, লাভলির বাবার নাম লেখা রয়েছে শেখ মুস্তাফা। কিন্তু এর আসল নাম জামিল বিশ্বাস। শেখ মুস্তাফাকে মিথ্যা বাবা সাজিয়ে সরকারি দস্তাবেজ তৈরি করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আর তাতে নাকি মদত দিয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল নেতারা।

একাধিক জাল নথি উদ্ধার তদন্তে

শুধু ভারতীয় নাগরিক আদায় নয় লাভলি খাতু, ভোটে দাঁড়িয়ে লড়াইও করলেন। এই নিয়ে রীতিমত কলকাতা হাইকোর্টেও মামলা চলছে। এই মামলাটি করেছিলেন রেহানা সুলতানা, যিনি লাভলির কাছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে পরাজিত হয়েছিলেন। রেহানার আইনজীবী জানান, নাসিয়া যে বাংলাদেশি, তার প্রমাণ অনেক রয়েছে। এমনকি লাভলি-র OBC সার্টিফিকেটটাও যে জাল, তারও প্রমাণ রয়েছে। পাশাপাশি লাভলির মিথ্যা বাবা শেখ মুস্তাফাকে হাইকোর্টে তলবও করা হয়।

কিন্তু বারবার ডাকা সত্ত্বেও তিনি হাজিরা দেননি। অধরা বিচার ব্যবস্থা। ৬ মাস পেরিয়ে গিয়েও মেলেনি রায়। এখনও এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। তাই এখনও পর্যন্ত পঞ্চায়েত প্রধানের পদেই রয়েছেন নাসিয়া। এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান নাসিয়া ওরফে লাভলিকে ফোন করা হয়েছিল। তিনি ফোন ধরেই প্রশ্ন এড়িয়ে যান। এবং পরে যোগাযোগ করা হবে বলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

সঙ্গে থাকুন ➥
X