পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর সারা বছরই সোনার (Gold) চাহিদা থাকে তুঙ্গে। কেউ গহনা হিসাবে সোনা কিনতে পছন্দ করেন তো কেউ আবার বিনিয়োগ হিসাবে সোনা নিতে ব্যস্ত। এমতাবস্থায় প্রশ্ন আসতেই পারে গোটা ভারতে কতটা সোনা আছে? কিংবা ভারতের মহিলাদের কাছে কতটা সোনা থাকতে পারে? সম্প্রতি এই প্রশ্নের উত্তর দিল ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল, যেটা সত্যিই চমকে দেওয়ার মত।
কত সোনা রয়েছে ভারতীয় মহিলাদের কাছে?
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী গোটা বিশ্বে যত সোনা মজুদ রয়েছে তার ১১% রয়েছে ভারতীয় মহিলাদের কাছেই। বিশেষ করে দক্ষিণ ভারতের মহিলাদের কাছে জমানো সোনার পরিমাণ তুলনামূলকভাবে বেশি। আর যদি ওজনের নিরিখে জানতে চান তাহলে ২৪,০০০ টন সোনা রয়েছে ভারতবর্ষের মহিলাদের কাছে। জানলে অবাক হবেন বিশ্বের প্রথম সারির পাঁচ দেশের যা সোনা রয়েছে তা একসাথে করলেও এতটা সোনা হবে না।
পরিসংখ্যান বলছে, গোটা দেশে মহিলাদের কাছে যে পরিমাণ সোনা আছে তার ৪০% রয়েছে দক্ষিণ ভারতে। এরপর ২৮% রয়েছে শুধুমাত্র তামিলনাড়ুতে। এই বিরাট সোনার পরিমাণ ভারতের অর্থনীতিতেও ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে।
বিশ্বের প্রথম পাঁচ দেশের থেকেও বেশি সোনা আছে ভারতীয় মহিলাদের কাছে
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ হিসাবে গণ্য হওয়া আমেরিকার কাছে রয়েছে ৮০০০ টন সোনা। এরপর জার্মানিতে রয়েছে ৩৩০০ টন সোনা। ইতালিও ফ্রান্সের কাছে আছে ২৪৫০ টন ও ২৪০০ টন সোনা। এমনকি রাশিয়ার কাছেও মাত্র ১৯০০ টন সোনা রয়েছে। ওদিকে ভারতীয় মহিলাদের কাছে রয়েছে ২৪ হাজার টন সোনা।
প্রসঙ্গত, ভারতের শুধুমাত্র আর্থিক কারণে নয় বরং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক দিক থেকেও সোনা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। যে কোনো শুভ কাজ থেকে শুরু করে বিবাহ অনুষ্ঠান এমনকি ক্যাজুয়ালি পরার জন্যও সোনার চাহিদা রয়েছে। তাছাড়া বিয়ের সময় মহিলারা নিজেরা যেমন সোনার গহণা কেনেন তেমনি উপহার হিসাবেও অনেকেই সোনা পান। তাই সব মিলিয়ে মহিলাদের কাছে গচ্ছিত সোনার পরিমাণ অনেকটাই বেশি। তবে আইন অনুযায়ী বিবাহিত মহিলারা ৫০০ গ্রাম ও অবিবাহিতরা ২৫০ গ্রাম সোনা নিজেদের কাছে রাখতে পারেন কোন আয়কর ছাড়া।