প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নতুন বছরের প্রথম দিনেই ধামাকেদার কামব্যাক শীতের। বর্ষশেষের রাত থেকেই একদিনে অনেকটাই পারদপতন হয়েছে রাজ্যে। কনকনে উত্তুরে হাওয়ায় বেশ মজেছে রাজ্যবাসী। এইমুহুর্তে মোট ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা কমেছে বলে খবর হাওয়া অফিস সূত্রে। তাই বলে এখনই জাঁকিয়ে ঠান্ডা পড়ছে না। আপাতত হালকা শীতের আমেজ বজায় থাকবে। কিন্তু এই আবহে ফের পশ্চিমী ঝঞ্ঝার দাপট বাড়তে চলেছে।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ডিসেম্বরের শুরুতে একের পর এক পশ্চিমি ঝঞ্ঝা এবং নিম্নচাপের প্রভাবে রীতিমত জাঁকিয়ে শীত পড়তেই পারছে না। রাজ্যে প্রবেশ করতে উত্তুরে হাওয়াও বাধা পাচ্ছিল। এরপর ডিসেম্বরের একদম শেষ দিনে আবহাওয়ার আমূল পরিবর্তন হয়। তাপমাত্রা একধাক্কায় ২-৩ ডিগ্রি কোণে যায়। কিন্তু সেই সুখ চিরস্থায়ী নয়। কারণ সপ্তাহান্তে ফের বাড়বে তাপমাত্রা। আগামী ৪ জানুয়ারি উত্তর-পশ্চিম ভারতে পশ্চিমি ঝঞ্ঝা ঢুকতে চলেছে। তবে দক্ষিণবঙ্গে এর প্রভাবে কোনো বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। উল্টে বাড়বে খানিক তাপমাত্রা।
দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়া
দক্ষিণবঙ্গে আজ কোথাও বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সর্বত্র আবহাওয়া শুষ্কই থাকবে। গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলিতেও কনকনে শীতের মেজাজ দেখা যাবে। অর্থাৎ শীতের জোরালো দাপট আপাতত আগামী দিন পাঁচেক স্থায়ী হবে এই জেলাগুলিতে। সঙ্গে থাকবে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশার দাপট। পশ্চিমের জেলাগুলিতে তাপমাত্রা আরও নামতে চলেছে। পাশাপাশি কুয়াশায় ঢাকবে পশ্চিম বর্ধমান, নদিয়া ও মুর্শিদাবাদ জেলা।
উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া
এই মুহুর্তে উত্তরবঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের মত শুষ্ক আবহাওয়া থাকলেও উত্তরবঙ্গের তিন জেলায় সপ্তাহান্তে বৃষ্টি কিংবা তুষারপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামী শনি ও রবিবার হালকা বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি ও কালিম্পঙে। এমনকি গভীর রাতে দার্জিলিং ও কালিম্পঙের পার্বত্য অঞ্চলে তুষারপাতও হতে পারে। উত্তরের জেলাগুলিতে কুয়াশা সংক্রান্ত হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, দক্ষিণ দিনাজপুর এবং মালদহে সকালের দিকে হালকা থেকে মাঝারি কুয়াশা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। দৃশ্যমানতা অনেকটাই কমতে চলেছে।