বাণিজ্যিক জায়গার চাহিদা নিম্নমুখী কলকাতায়! একেবারে তলানিতে ঠেকল নাম, রইল তালিকা

Published on:

office space

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সম্প্রতি কেন্দ্রের তরফে দাবি করা হয়েছে যে গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ এর জানুয়ারি-জুলাইয়ে বাংলায় মোট লগ্নি প্রস্তাব এসেছে ২০,৯০০ কোটি টাকার। কিন্তু সেই লগ্নির দশ ভাগের মাত্র এক ভাগ বাস্তবায়িত হয়েছে। অর্থাৎ ২২৫৬ কোটি টাকা লগ্নি বাস্তবায়িত হয়েছে। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে এক জোর তরজা শুরু হয়েছিল। এদিকে এই আবহে ২০২৪ সালে বাণিজ্যিক জায়গার নিরিখে অর্থাৎ অফিস স্পেসের জায়গার নিরিখে একটি সমীক্ষা শুরু করে আবাসন ক্ষেত্রের উপদেষ্টা সংস্থা নাইট ফ্র্যাঙ্ক। আর সেই সমীক্ষায় উঠে এসেছে এক চমকপ্রদক ফলাফল।

অফিস স্পেসের নিরিখে কলকাতার মান খারাপ

WhatsApp Community Join Now

নাইট ফ্র্যাঙ্ক এর রিপোর্ট সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালে কলকাতায় অফিস স্পেসের চাহিদা ছিল ১৪ লক্ষ বর্গফুটের কিছু বেশি। কিন্তু পরের বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালে সেই অফিস স্পেসের চাহিদা ১% কমে গিয়েছে। আর এই রিপোর্টের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট মহলের একাংশের দাবি, অফিস স্পেসের ক্ষেত্রে এই শহর ধীরে ধীরে চাহিদা কমিয়ে ফেলছে। তাই নির্মাণ সংস্থাগুলি বাণিজ্যিকের বদলে সাধারণ আবাসন তৈরির দিকে ঝুঁকছে। সে কারণেই কমেছে ফাঁকা জায়গা। এদিকে কলকাতার ফাঁকা বাণিজ্যিক জায়গাও ৩.৫% কমে গিয়েছে। এবং মোট জায়গার পরিমাণ ৩৬.২%। তবে নাইট ফ্র্যাঙ্ক এর রিপোর্ট সূত্রে কলকাতা ছাড়াও বাকি শহরের অফিস স্পেসের চাহিদা উঠে এসেছে।

খরচ বেড়ে হয়েছে ৪১ টাকা

তালিকা অনুযায়ী জানা গিয়েছে চাহিদা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে আহমেদাবাদ। সেখানে অফিস স্পেসের চাহিদা ৬৫% বৃদ্ধি পেয়েছে। তার পরে রয়েছে বেঙ্গালুরু যেখানে অফিস স্পেসের চাহিদা রয়েছে ৪৫%, মুম্বইতে অফিস ৪০%। অন্যদিকে দিল্লিতে এই অফিস স্পেসের চাহিদা রয়েছে ২৫%। কলকাতার পিছনে রয়েছে চেন্নাই। এদিকে গত এক বছরে কলকাতায় বর্গ ফুট প্রতি ভাড়ার খরচ ৬.৬% বেড়েছে। আর এর ফলে প্রতি বর্গ ফুট ভাড়ার খরচ হয়েছে ৪১ টাকা। মুম্বইয়ে যা বেড়ে হয়েছে ১১৮ টাকা এবং বেঙ্গালুরুতে খানিক কমে হয়েছে ৯২ টাকা।

এই প্রসঙ্গে নাইট ফ্রাঙ্কের চেয়ারম্যান শিশির বৈজল জানিয়েছেন, ‘‘২০২৫ এ একটা ভালো দিক আসতে চলেছে কলকাতায়। কারণ দেশের মধ্যে কলকাতায় ভাড়া সবচেয়ে কম হওয়ায় বেশিরভাগ সংস্থা কর্মসংস্থানের জন্য এখানে বিনিয়োগ করবে।’’ পূর্তি রিয়েলটির এমডি মহেশ আগরওয়াল বলেন, ” সল্টলেক ও নিউ টাউনে বাণিজ্যিক জায়গার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। আশা করা যাচ্ছে ২০২৫ এএই দুই এলাকায় বড় কর্মসংস্থান তৈরি হবে।”

সঙ্গে থাকুন ➥
X