শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ সরকারি কর্মচারীদের জন্য আরও একটা বড় খবর। এতো দিন সরকারি কর্মীরা ডিএ (Dearness Allowance) বৃদ্ধির জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এরই মধ্যে এসে পৌঁছেছে অতিরিক্ত ছুটি সংক্রান্ত নির্দেশিকা। অতিরিক্ত ছুটি একদিন কিংবা দু’দিনের জন্য নয়, বরং ৪২ দিনের জন্য। বিশেষ ক্ষেত্রে ‘ক্যাজুয়াল লিভ’ (সিএল) হিসেবে ৪২টি অতিরিক্ত ছুটি নিতে পারবেন কর্মীরা। এই ছুটি কিন্তু যে কোনও সরকারী কর্মচারী নিতে পারবেন না।
নির্দেশিকা জারি সরকারের
নির্দেশিকায় যে অতিরিক্ত ছুটি বা ক্যাজুয়াল লিভের কথা বলা হয়েছে সেটা নতুন নয়। এর আগেও এই ছুটির কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনের শুরুতে ইতিমধ্যে ‘বিশেষ ক্ষেত্র’ শব্দ দু’টো ব্যবহার করা হয়েছে। এই ‘বিশেষ ক্ষেত্র’ বলতে কী বোঝানো হচ্ছে? বিশেষ ক্ষেত্র বলতে অঙ্গ দানের কথা বলা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার অঙ্গ দানের ব্যাপার উৎসাহ প্রদান করছে অনেক আগে থেকেই। ২০২৩ সালেও এ ব্যাপারে উৎসাহ প্রদান করা হয়েছিল।
আরও পড়ুনঃ ২০২৫-র প্রথম ভাইরাল, জেনে নিন ‘Chhi Chhi Chhi Re Nani’ গানের আসল অর্থ
যে সকল কেন্দ্রীয় সরকারী কর্মীরা অঙ্গ দান করবেন, কেবল তাঁরাই এই অতিরিক্ত ৪২ দিনের ছুটি নেওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন। ৪২ দিনের অতিরিক্ত ছুটি কর্মীরা কি যে কোনও সময় নিতে পারবেন? না, কর্মীরা নিজের ইচ্ছা মতো ৪২ দিনের সিএল নিতে পারবেন না। প্রথমমত অঙ্গ দানের ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দফতরকে জানাতে হবে। দেখাতে হবে চিকিৎসকের লিখিত প্রমাণপত্র। সাধারণ অস্ত্রোপচারের পর টানা সাত দিনের অতিরিক্ত ছুটি নেওয়া যেতে পারে।
মিলবে অতিরিক্ত ছুটি
তবে কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্রোপচার হওয়ার সাত দিন আগে থেকেও ছুটি পাওয়া যেতে পারে। এরপর বাকি যে ছুটি থাকছে, সেগুলো টানা কিংবা ভেঙে ভেঙে নেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রেও অবশ্য চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ছুটি নেওয়া জরুরি। এই ৪২ দিনের ক্যাজুয়াল লিভ শুধু মাত্র অঙ্গ দানকে উৎসাহিত করা জন্য। ফলত অন্য কোনও কাজের জন্য এই ৪২ দিনের ছুটি ব্যবহার করা যাবে না।
সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী, সরকারি হাসপাতাল বা ‘সেন্ট্রাল গভর্নমেন্ট হেলথ স্কিম’-র (সিজিএইচএস) আওতাধীন বেসরকারি হাসপাতাল থেকেই যতটা সম্ভব অঙ্গদান সংক্রান্ত চিকিৎসা করতে হবে। কোথাও যদি সেরকম কোনও হাসপাতাল না থাকে এবং অন্য কোনও বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা করা যায়, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের মেডিক্যাল সার্টিফিকেট লাগবে।