পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ বর্তমানে রাজ্যের মহিলাদের কাছে লক্ষীর ভান্ডার (Lakshmir Bhandar) প্রকল্প যে কতটা জনপ্রিয় সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে এবার সেই প্রকল্পের পাল্টা একেরপর এক বড় ঘোষণা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। কি কি বললেন? জানতে প্রতিবেদনটি শেষ অবধি পড়ুন।
রানীগঞ্জ থেকে বড় ঘোষণা শুভেন্দু অধিকারীর
আজ অর্থাৎ ১১ ই জানুয়ারি পশ্চিম বর্ধমানের রানিগঞ্জে ‘সংকল্প রাম রাজ্যের’ সভার আয়োজন করা হয়েছিল। যেখানে আসানসোলের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল থেকে শুরু করে বিজেপি দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত ছিলেন। রাম পুজো করে পশ্চিমবঙ্গকে ‘রামরাজ্য’ করার সংকল্প বিজেপি নেতৃত্ব।
শুরুতেই রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সরকারকে বিঁধতে ছাড়েননি তিনি। তাঁর মতে, রাজ্যে জঙ্গিদের আশ্রয় দেওয়া হচ্ছে যারা বিপজ্জনক। আইইডি দিয়ে বিস্ফোরণ ঘটাতে সক্ষম এমন জঙ্গি জাভেদ মুন্সী। তাকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লুকিয়ে রেখেছিল। রাজ্যের নয় কাশ্মীরের পুলিশ এসে পাকড়াও করে নিয়ে গেছে। আরেক জঙ্গি মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়ায় মাদ্রাসা চালু করেছিল। তার তো এপিক কার্ডও হয়ে গেছিল, তাকেও মমতার পুলিশ ধরেনি। অসমের এসটিএফ এসে ধরে নিয়ে গেছে।
‘বিজেপি এলে লক্ষীর ভান্ডারে ৩০০০ দেবে’
তাই মানুষকে একযোগে হয়ে বাংলাকে জঙ্গিদের হাত থেকে রাখার করার কথা জানান শুভেন্দু অধিকারী। একইসাথে একেরপর এক প্রতিশ্রুতি দিয়ে তিনি জানান, লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে ওরা। আমরা যে রাজ্যে আছি, সেখানে এর চেয়ে বেশি দেওয়া হয়। ওরা হাজার টাকা দেয়, বিজেপি এলে ৩০০০ টাকা দেবে। এক লক্ষ কুড়িতে ঘর হয় নাকি ? আমরা এলে তিনলাখ কুড়ি দেব। সাথে ফ্রীতে শৌচালয় বানিয়ে দেব। নল দেব, জল দেব। সোলার আলো লাগানো হবে ইলেকট্রিক বিল দিতে লাগবে না’।
এখানেই শেষ নয়! রানিগঞ্জ ও আসানসোলে বেআইনি কয়লা কাটা থেকে শুরু করে ধস নামার ঘটনা নিয়েও সুর ছড়িয়েছেন বিরোধী দলনেতা। তাঁর মতে, যেখানে দাঁড়িয়ে আছেন, কোনদিন ধপ করে পড়ে যাবেন। নিচটা ফাঁকা করে দিয়েছে সব। আসানসোল, রানীগঞ্জ, জামুড়িয়া, পাণ্ডবেশ্বর, বারাবনি এই সব এলাকার নিচেটা ফাঁকা হয়ে গেছে।