শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ আর মাত্র কিছুটা সময়, ব্যস তারপরেই এক ট্রেনে রানীগঞ্জ থেকে বাঁকুড়া এবং বাঁকুড়া থেকে রানীগঞ্জ অবধি ট্রেনে করে যেতে পারবেন মানুষ। অর্থাৎ আর ব্রেক জার্নি কিংবা ভিড় বাসে করে যাতায়াতের দিন শেষ হতে চলেছে। যত সময় এগোচ্ছে ততই দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রেল লাইন (Durgapur-Bankura Rail Line) প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে। এদিকে এই কাজ শীঘ্রই শেষ হয়ে মানুষ ট্রেনে করে যাতায়াত করতে পারবেন বলে আশাবাদী সাংসদ থেকে শুরু করে রেল কর্তৃপক্ষ। আরও বিশদে জানতে ঝটপট পড়ে ফেলুন আজকের এই প্রতিবেদনটি।
দুর্গাপুর-বাঁকুড়া রেল প্রকল্পে মেগা আপডেট
দুর্গাপুর ও বাঁকুড়ার মধ্যে সরাসরি রেল যোগাযোগ তৈরি হোক এই দাবি দীর্ঘদিনের। এতে করে একদিকে যেমন সাধারণ মানুষের সুবিধা হবে ঠিক তেমনই আর্থ সামাজিক ব্যাপারটাও ভালো হবে। বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ জানিয়েছেন, রেলমন্ত্রকের তরফে এই রুটে সমীক্ষা কাজ শুরু হয়েছে। ২০২৪ সালের জুলাইয়ে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে দেখা করে এই রুটে রেল যোগাযোগ গড়ে তোলার দাবি জানিয়েছিলেন। তাঁর দাবি, সম্প্রতি রেলমন্ত্রী তাঁকে চিঠি দিয়ে এই রুটে সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
সম্প্রতি পূর্ব রেলের আসানসোল ডিভিশনের রানিগঞ্জ স্টেশন থেকে বাঁকুড়া পর্যন্ত রেললাইন সম্প্রসারণের দাবি ওঠে। রানিগঞ্জের বণিক সভা, বাঁকুড়া মৈত্রী সংঘ সহ একাধিক সংগঠন ও বিভিন্ন মহল থেকে এই দাবি করা হয়েছে।
দীর্ঘদিনের দাবি কি পূরণ হবে?
এমনিতেই দুর্গাপুর ও বাঁকুড়া দুই জায়গাই সকলের কাছে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। একদিকে যেমন দুর্গাপুরে রয়েছে বহু বেসরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল, ইংরেজি মাধ্যম স্কুল, কলেজ। প্রতিদিন বহু ছাত্রছাত্রী দুর্গাপুরে যাতায়াত করেন।
আরও পড়ুনঃ মকর সংক্রান্তিতে শিয়ালদা ডিভিশনে বাতিল একগুচ্ছ লোকাল, তালিকা দিল পূর্ব রেল
এদিকে কর্মসূত্রে দুর্গাপুরের বহু মানুষ যেমন প্রতিদিন বাঁকুড়ায় যান, তেমন উল্টোটাও ঘটে। বিশেষ করে দুর্গাপুরের বহু বেসরকারি কারখানায় বাঁকুড়ার অনেকে ঠিকা শ্রমিকের কাজ করেন। তাঁরা প্রতিদিন আসা-যাওয়া করেন। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া প্রভৃতি জেলায় বহু পর্যটনকেন্দ্র রয়েছে। দুর্গাপুরের অনেকে আবার ঘুরতে যান। ফলে সবদিকে বিচার করে এই রুটে ট্রেন চালানোর দাবি আরও জোরালো হচ্ছে।