শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগেই ব্যাপক লক্ষ্মীলাভ হল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের। এক ধাক্কায় রাজ্যের পকেটে ঢুকল ৩০৩ কোটি টাকা। শুনে চমকে গেলেন তো? কিন্তু এমনই তথ্য প্রকাশ্যে উঠে এসেছে। যাকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই বাংলাজুড়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আসলে এত পরিমাণে টাকা রাজ্যের রাজস্বে ঢোকার কারণ হল বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি (Bangla Sahayata Kendra)। বিভিন্ন পরিষেবার দরুণ রাজ্যের ভান্ডার কার্যত ফুলেফেঁপে উঠেছে।
রিপোর্টে চাঞ্চল্য
নতুন বছর শুরু হতে না হতেই একটি রিপোর্ট প্রকাশ্যে এসেছে। আর এই রিপোর্ট দেখেই কার্যত চোখ কোটর থেকে সকলের ঠিকরে বেরিয়ে এসেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে আর্থিক লেনদেনের ফলে গত একবছরে ৭৯ শতাংশ রাজস্ব বেড়েছে রাজ্য সরকারের। এই রিপোর্ট পেশ হওয়ার সঙ্গে রাজ্য সরকারের তরফে একটি বিশেষ দাবি করা হয়েছে। সেই দাবি অনুসারে, বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে কোনওরকম দালাল চক্র চলছে না। এর ফলে সাধারণ মানুষও ব্যাপকভাবে উপকৃত হচ্ছেন।
অন্যদিকে রাজ্যের রাজস্বও ব্যাপকভাবে বাড়ছে। সব মিলিয়ে, বিগত কয়েক বছরে রাজ্য সরকার এই সহায়তা কেন্দ্রগুলির মারফত বেশ মোটা টাকার অঙ্ক চোখে দেখতে পারছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রের ‘ই-ওয়ালেট’ লেনদেন হয়েছিল ১৬৯ কোটি টাকার। ২০২৪ সালে সেই পরিমাণ বেড়ে ৩০৩ কোটি টাকা হয়েছে। অর্থাৎ, একবছরেই তা ৭৯.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
কয়েকশো কোটি টাকা লাভ হল সরকারের
সরকারের তরফে দেওয়া তথ্য অনুসারে, বর্তমান সময়ে এই বাংলা সহায়তা কেন্দ্র মারফত এখন রাজ্য সরকারের ৪০টি দফতরের ৩০০টিরও বেশি পরিষেবা মিলছে। রাজ্যজুড়ে এখন কয়েক হাজার সহায়তা কেন্দ্র চালাচ্ছে সরকার নিজে। বর্তমানে রাজ্যে মোট ৩৫৬১টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র চালু রয়েছে। আরও ১৪৩১টি নতুন BSK চালু করবে নবান্ন। জমি-বাড়ির খাজনা, মিউটেশন খরচ, লিজ, বিদ্যুৎ বিল-সহ বিভিন্ন পরিষেবার টাকা মেটানো যাচ্ছে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে। এই আবহে রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে আর্থিক পরিষেবা খাতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে লেনদেন বেড়েছে ৩৪ শতাংশ।
এদিকে ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে স্বাস্থ্য খাতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে লেনদেন বেড়েছে ৩৯ শতাংশ। ২০২৩ সালের তুলনায় ২০২৪ সালে কৃষি খাতে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে লেনদেন বেড়েছে ২১ শতাংশ। এছাড়া ২০২৪ সালে শিক্ষাক্ষেত্রে বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলিতে লেনদেন বেড়েছে ৫৪ শতাংশ এবং সামাজিক প্রকল্পের ক্ষেত্রে তা বৃদ্ধি পেয়েছে ২৫ শতাংশ।