প্রীতি পোদ্দার, নয়া দিল্লি: রেল পরিষেবায় যাত্রীদের যাতে কোনো সমস্যার মুখোমুখি না হতে হয় তাই সেই কারণে একের পর এক প্রচেষ্টা করে চলেছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। উন্নত মানের প্রযুক্তি ব্যবহারের পাশাপাশি নয়া এক্সপ্রেস ট্রেনও নিয়ে আসছে ভারতীয় রেল। বর্তমানে দূরের গন্তব্যে পৌঁছতে যাত্রীদের প্রথম পছন্দ হিসেবে তালিকায় সবার প্রথমে উঠে আসে বন্দে ভারতের কথা। বছর বছর ধরে রেলের উন্নয়নে কাড়ি কাড়ি টাকা ঢালছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাই এককথায় বলা যায় মোদী সরকারের আমলে ভারতীয় রেল এক ঐতিহাসিক রেকর্ড গড়ে তুলছে। আর এই আবহে বন্দে ভারতের মতো দ্রুতগতির ট্রেনের রেশ কাটার আগেই আরও এক বিলাসবহুল ও গতিময় ট্রেন অমৃত ভারত ২.০ পেতে চলেছে ভারতীয় রেলের যাত্রীরা।
ট্রেনের মধ্যে এমার্জেন্সি টকব্যাকের ফিচার
সূত্রের খবর গত শুক্রবার চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে যান কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। সেখানে সদ্য নির্মিত অমৃত ভারত ২.০ ট্রেনের কোচগুলির গুণমান ভালো করে খতিয়ে দেখছিলেন। কাজ কতটা এগালো তা নিয়ে সেখানকার কর্মীদের সঙ্গে নানা রকম আলোচনা করা হচ্ছিল। জানা গিয়েছে আইসিএফ বা ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরিতে তৈরি করা হবে এই ট্রেনগুলি। সঙ্গে থাকবে বেশ কিছু নয়া বৈশিষ্ট্য। যা বন্দে ভারতকে রীতিমত টেক্কা দেবে। সেমি-অটোমেটিক কাপ্লেট, মডিউলার টয়লেট, চেয়ার পিলার থেকে শুরু করে থাকবে এমার্জেন্সি টকব্যাকের মতো ফিচার। একেবারে ঝাঁ চকচকে ব্যবস্থা। বাইরের দৃশ্য উপভোগ করার জন্য থাকবে বিরাট আকারের জানলা। সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হল মাথার উপরে তাকালে দেখা যাবে খোলা আকাশ। কারণ ট্রেনের চারপাশ পুরোটাই কাঁচের আবরণে ঢেকে দেওয়া হবে।
উন্নতমানের খাবার
গত বছর অর্থাৎ ২০২৪-এর জানুয়ারি মাসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অমৃত ভারতের প্রথম সংস্করণ চালু করেছিলেন। সেই সময় অমৃত ভারতের পরিষেবা গ্রহণ করেছিল একাধিক যাত্রী। তাতে বেশ ইতিবাচক ফিডব্যাক পাওয়া গিয়েছিল। আর সেই সূত্র ধরেই এবার তৈরি হতে চলেছে অমৃত ভারতের দ্বিতীয় সংস্করণ। জেনারেল কোচের আসনগুলিও হবে আরামদায়ক। থাকবে চার্জিং পয়েন্ট, জলের বোতল রাখার জায়গা। এছাড়াও যাত্রীদের আলাদা ও উন্নতমানের খাবার পরিবেশন পরিষেবা দেওয়া হবে। সব মিলিয়ে দূরের গন্তব্যে পৌঁছানোর ক্ষেত্রে কোনো সমস্যাই হবে না যাত্রীদের।
আরও পড়ুনঃ প্রথম ম্যাচ KKR-র, ফাইনাল ইডেনে, IPL 2025 শুরুর দিনক্ষণ জানাল BCCI
এদিন পাম্বান ব্রিজের বিষয়ে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন, রীতিমতো গবেষণা করে স্ট্যান্ডার্ড অর্গানাইজেশন মেনে এই সেতু তৈরি করা হয়েছে। ভবিষ্যতে কোনও সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে না। অন্যদিকে কাশ্মীরে চলা বন্দে ভারতে নাকি থাকছে জল গরম করার মতো ফিচারও। যা ভারতীয় রেলের ইতিহাসে প্রথম। সুতরাং যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন অত্যাধুনিক ও আরামদায়ক পরিষেবা তৈরি করছে ভারতীয় রেল।