প্রীতি পোদ্দার, মালদহ: দিন যত এগোচ্ছে ভারত বাংলাদেশের সীমান্ত ততটাই উত্তপ্ত হচ্ছে। আর সেক্ষেত্রে নাকি বাংলাদেশ থেকে জঙ্গি ঢোকাতে সীমান্তে লাগাতর উস্কানি দিচ্ছে BGB বা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। এমনকি বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে সীমান্তের বিভিন্ন জায়গায় ভারত নিজেদের জমিতে কাঁটাতারের বেড়া দিতে গেলেও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের বাধার মুখে পড়েছে। তবে এর সঙ্গে বিএসএফের (Border Security Force) এর সঙ্গে তীব্র হুংকার দিচ্ছে এলাকার বাসিন্দারাও। ক্রমেই জটিল হচ্ছে পরিস্থিতি। আর এদিকে আবার রাতের অন্ধকারে সীমান্তে চলছে চোরা পাচারও। এমনই অভিযোগ উঠে আসছে। তাই এবার সীমান্ত রক্ষা করতে BSF-র সঙ্গে হাত মেলাল গ্রামের মহিলারাও।
BSF-র পাশে এবার গ্রামের মহিলারা
সূত্রের খবর, গতকাল অর্থাৎ রবিবারই ভোরের দিকে মালদহের সুখদেবপুরে ৬ জঙ্গিকে ঢোকানোর চেষ্টা করেছিল BGB অর্থাৎ বাংলাদেশ সেনা বাহিনী। আর সেই দৃশ্য খোদ দেখেছিল গ্রামবাসীরা। সঙ্গে সঙ্গে BSF এবং গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে তারা পালিয়ে যায়। কিন্তু এই ঘটনা তাঁদের অলক্ষ্যে এর আগে অনেক ঘটেছে। তাই এবার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবার পাহাড়া দেবে সীমান্তের মহিলারা। তাই হাতে তুলে নিয়েছেন অস্ত্র-লাঠি-বটি, দাঁ-। সাধারণ গ্রামের মহিলা থেকে এবার তাঁরা হয়ে উঠবেন মা রণচন্ডী। গতকাল রাতেই সুখদেবপুর-সহ পাশের গ্রামের মহিলারা বৈঠক করে এই সিদ্ধান্ত নেন।
কেন এই সিদ্ধান্ত?
এই বিষয়ে গ্রামবাসীদের বক্তব্য, বাংলাদেশের সেনাবাহিনীরা রাতের অন্ধকারে অথবা ঘন কুয়াশায় ভারতে ঢুকিয়ে দিচ্ছেন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের। আবার অনেকে কুয়াশার মাধ্যমে ভিতরে ঢুকে জমির শস্য কেটে নিভছে, ফসল চুরি করছে এমনকি গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে অশালীন আচরণও করছে বলে অভিযোগ। দিনের পর দিন এই সমস্যায় অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে সকলে। তাইতো নিজের দেশ রক্ষা করতে এবার পথে নামলেন মহিলারা।
আর এদিকে দিল্লিতে বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার নুরাল ইসলামকে আজ ডেকে পাঠাল ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক। সূত্রের খবর, আজ দুপুর নাগাদ তাঁকে দিল্লির সাউথ ব্লকে বিদেশ মন্ত্রকের দফতর থেকে বার হতে দেখা গিয়েছে। অন্যদিকে গতকাল অর্থাৎ রবিবার ঢাকায় ভারতীয় হাই কমিশনার প্রণয় বর্মাকে ডেকে পাঠিয়েছিল মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।