পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ প্রতিবছরের মত এবছরেও মকর সংক্রান্তির মেলায় লক্ষ লক্ষ মানুষের সমাগম হয়েছিল। পুণ্য তিথিতে স্নান করার জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষেরা হাজির হয়েছিলেন গঙ্গাসাগরে (Gangasagar Mela 2025)। এই বিপুল সংখ্যক পুণ্যার্থীদের যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয় তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা করার চেষ্টাও করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তরফ থেকে। তবে একটা সমস্যা থেকেই যাচ্ছিল সেটা হল মেলা শেষে আবর্জনা। এবার সেটা নিয়েও মিলল সুখবর।
এবছর ৮ই জানুয়ারি থেকে গঙ্গাসাগরে কপিল মুনির আশ্রম প্রাঙ্গণেই গঙ্গাসাগর মেলা চালু হয়েছে। যেটা আগামী ১৭ই জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে। আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার সকাল ৬ টা ৫৮ মিনিট থেকে স্নানের পুণ্য তিথি শুরু হয়েছে যেটা চলবে আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার সকাল অবধি। দক্ষিণ ২৪ পরগণার প্রশাসনিক হিসেবে বলছে এপর্যন্ত ৫৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ পুণ্যতিথিতে স্নান করতে ও মেলায় ঘুরতে এসেছিলেন। তবে এখনও লক্ষাধিক মানুষ আসতে পারেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।
গঙ্গাসাগর মেলার আবর্জনা দিয়ে অভিনব উদ্যোগ
ব্যাপক সংখ্যায় মানুষ মেলায় আসার ফলে চারিদিক সমুদ্র সৈকত ভরে গিয়েছে আবর্জনা থেকে শুরু করে বর্জ্য পদার্থে। প্লাস্টিক বা কাঁচের বোতল থেকে শুরু করে পুরোনো জামাকাপড় পরে রয়েছে সৈকতেই। সেগুলি দিয়েই এবার এক অভিনব ভাবনা এক প্রাইভেট সংস্থার। জানা যাচ্ছে মেলা শেষ হলে এই ধরণের বর্জ্য পদার্থগুলিকে পুনরায় কাজে লাগানো হবে। সেগুলি দিয়েই তৈরী করা হবে রাস্তা।
বর্জ্য পদার্থ দিয়েই হবে রাস্তা নির্মাণ
ইতিমধ্যেই এই মর্মে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে উক্ত বেসরকারি সংস্থার তরফ থেকে। কর্মশালায় বর্জ্য পদার্থ কি কি ভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে সেটা যেমন সেখান হচ্ছে তেমনি আবর্জনা সংগ্রহ করার কথাও জানানো হয়েছে। পরবর্তীতে সেগুলি দিয়েই রাস্তা নির্মাণের সময় গর্ত ভরাট থেকে আরও নানা ধরণের কাজ করা হবে সেগুলি দিয়েই।
আরও পড়ুনঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রকল্পই হাতিয়ার, বাড়ি বসে কাজ করে ভালো আয় মহিলাদের
প্রসঙ্গত, আগামী ২০২৯ সালের মধ্যে নতুন ‘গঙ্গাসাগর সেতু’ তৈরির জন্য উদ্যোগী হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। মুড়ি গঙ্গা নদীর উপরেই তৈরী করাহবে সেতু যেটা সাগরদ্বীপকে যুক্ত করবে। এর ফলে কলকাতা থেকে গাড়িতেই সোজা গঙ্গাসাগর চলে যাওয়া সম্ভব হবে। ইতিমধ্যেই সেতু তৈরির জন্য দরপত্র জারি করা হয়েছে রাজ্যের তরফ থেকে। জানা যাচ্ছে, প্রায় ১৪৩৯ টাকা খরচ হবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
ISL-এ ভরাডুবির মাঝেই বড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে ইস্টবেঙ্গল, চাপ বাড়বে মোহনবাগানের?