শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ আর মাত্র কিছুটা সময়, ব্যস তারপরেই হাওড়া জেলা (Howrah) সকলের মধ্যমণি হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে বিনিয়োগকারীদের কাছে এই জায়গা আগামী দিনে গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছে বিশিষ্ট মহল। হ্যাঁ একদম ঠিকই শুনেছেন। এখন আপনিও নিশ্চয়ই ভাবছেন যে কী হল আচমকা? তাহলে বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই লেখাটির ওপর।
বিনিয়োগকারীদের নজরে হাওড়া জেলা
বুধবার হাওড়ার সিনার্জি অ্যান্ড বিজনেস ফেসিলিটেশন কনক্লেভে এমএসএমই ও টেক্সটাইল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা বড় ঘোষণা করেন। তিনি জানান, আগামী ২-৩ বছরে হাওড়া জেলায় শিল্পক্ষেত্রে ১৪,৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হবে যা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রায় ৭৫,০০০ লোকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারে।
অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ বাংলার সামগ্রিক অর্থনৈতিক ও শিল্প পরিস্থিতির উল্লেখ করে বাংলায় MSME ক্ষেত্রের দিকে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করেন। তাঁর ইঙ্গিত অনুযায়ী, আগামী কয়েক বছরে শিল্প ক্ষেত্রে এই হাওড়া জেলা ঝড় তুলতে পারে। তিনি বলেন, হাওড়া কীভাবে অবস্থানগত সুবিধা, পরিকাঠামো, যোগাযোগ নেটওয়ার্ক, দক্ষকর্মী বাহিনী ইত্যাদিকে কাজে লাগিয়ে তার শিল্প কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণ করছে।
শিল্প ক্ষেত্রে ঝড় তুলবে হাওড়া?
রাজ্যের মুখ্যসচীব হস্তশিল্প, হস্তচালিত তাঁত এবং পাওয়ারলুম ক্ষেত্র সহ অতিক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের দ্রুত বিকাশের জন্য রাষ্ট্রীয় প্রকল্প ও কর্মসূচি সম্পর্কে শিল্পোদ্যোগীদের ওয়াকিবহাল করেন। রাজ্যে ব্যবসা-বান্ধব পরিবেশ গড়ে তুলতে ‘ইজ অফ ডুয়িং বিজনেস’-এর আওতায় রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণ সংস্কারের কথা উল্লেখ করেন তিনি। উল্লেখ্য, এই বিশেষ অনুষ্ঠানে হাওড়ার বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রায় ৬০০ জন উদ্যোগপতি অংশ নিয়েছিলেন।
এমএসএমই বিভাগের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে ক্লাস্টার ইউনিটগুলির জন্য উন্নত প্রযুক্তি সরবরাহের জন্য বিভাগটি উলুবেরিয়ার শাটল কক ক্লাস্টারের জন্য একটি কমন ফ্যাসিলিটি সেন্টার (সিএফসি) স্থাপন করছে। সিএফসির জন্য একটি ইজারা দলিল কার্যকর করা হয়েছিল এবং ওয়েবেল, ফুজিসফট ভারা একটি ডিপিআর প্রস্তুত করেছে যা পরীক্ষাধীন রয়েছে। এই সিএফসি ৪৫০ জন শাটলকক প্রস্তুতকারককে সহায়তা করবে।