শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ নতুন বছরে একদম নয়া চমক দিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government Of West Bengal)। এবার পরিবেশের কথা ভেবে সরকারের তরফে একটি বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হল, যা সকলকে উপকৃত করবে। মূলত রাজ্য পরিবেশ বিভাগ গ্রিন কার্বন ক্রেডিট কার্ড চালু করবে। হ্যাঁ ঠিকই শুনেছেন। আরও বিশদে জানতে চোখ রাখুন আজকের এই প্রতিবেদনটির ওপর।
গ্রিন ক্রেডিট কার্ড চালু করবে সরকার
কিছু ব্যক্তি যারা কিনা পরিবেশ সেবার সঙ্গে নিজেদের যুক্ত রেখেছেন তাঁদের পুরস্কৃত ও উৎসাহিত করার জন্য রাজ্য পরিবেশ বিভাগ গ্রিন কার্বন ক্রেডিট কার্ড চালু করবে বলে খবর।
কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রক (এমওইএফসিসি) আয়োজিত “ফাইন্যান্সিং ইন্ডিয়াস গ্রিন ট্রানজিশন প্ল্যান অ্যান্ড অ্যাডাপটেশন নিডস” শীর্ষক পরামর্শ কর্মশালায় রাজ্য পরিবেশ বিভাগের সচিব অভিনব চন্দ্র বলেন, “গ্রিন কার্বন ক্রেডিট কার্ড চালু করে আমরা বাংলায় অনন্য কিছু করছি। কোনও ব্যক্তি তার ব্যক্তিগত কার্বন ফুটপ্রিন্ট হ্রাস করতে পারে এবং আমাদের ব্যক্তিগত অংশীদারদের মাধ্যমে ব্রাউন পয়েন্ট অর্জন করতে পারে যার মধ্যে অনলাইন শপিংয়ের কিছু বড় নাম রয়েছে।” তিনি আরও বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত রাজ্য কর্মপরিকল্পনা (এসএপিসিসি) শীঘ্রই চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ ২০৩০-র আগে ভাগ্যের চাকা ঘুরবে না বাংলার সরকারী কর্মীদের! DA বৃদ্ধি নিয়ে বড় বয়ান
কারা পাবে এই বিশেষ কার্ড?
এখন প্রশ্ন উঠছে, কারা এই বিশেষ কার্ড পাবে? প্রাথমিকভাবে স্কুলের ইকো ক্লাবের সদস্য পড়ুয়াদের গ্রিন ক্রেডিট কার্ড দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন অভিনব চন্দ্র। গাড়ির পরিবর্তে গণপরিবহন ব্যবহার, প্লাস্টিকের ব্যাগ এড়িয়ে চলা, বাইসাইকেল ব্যবহার, বর্জ্য পৃথকীকরণ ও পুনর্ব্যবহার এবং আতশবাজি এড়ানোর মতো টেকসই অনুশীলনকে উৎসাহিত করাই এর লক্ষ্য।
আরও পড়ুনঃ ৮০০, ৯০০ অতীত! এবার মাত্র ৫০০ টাকায় মিলবে LPG সিলিন্ডার, হয়ে গেল বড় ঘোষণা
এই কার্ডের ক্রেডিট পরে পাওয়াও যাবে, ‘বড় শপিং অনলাইন প্ল্যাটফর্ম সহ বিভিন্ন প্রাইভেট সেক্টর পার্টনার’দের মাধ্যমে। এদিকে, ইকো ক্লাবগুলির দায়িত্ব থাকবে সদস্যদের কার্বন ক্রেডিটের বিষয়টি নিয়ে। প্রতিটি ইকো ক্লাবকে সদস্যদের কার্বন ক্রেডিট রেকর্ড করার দায়িত্ব দেওয়া হবে। শীঘ্রই এই কার্ড সকলের জন্য লাগু কড়া হবে বলে খবর।
কেন্দ্রের বড় উদ্যোগ
‘গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড রেডিনেস প্রোগ্রাম’র আওতায় এই আয়োজন করেছিল কেন্দ্রীয় পরিবেশ, বন, জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রক। সেখানে হাজির ছিলেন বাংলার মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, তিনি জানান, ‘পরিবর্তনের মোকাবিলা করা শুধু একটি পরিবেশমূলক অ্যাজেন্ডাই নয়। এটি উন্নয়নমূলক দিকেও অপরিহার্য। এর জন্য বাড়তি আর্থিক রিসোর্সও দরকার।’