পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ নতুন বছরে ১ কোটিরও বেশি কর্মীদের স্বস্তি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। অষ্টম পে কমিশন গঠনের মঞ্জুরীর খবর প্রকাশ্যে আসার পর থেকে বেশ খুশি সরকারি কর্মীরা। এর ফলে নূন্যতম বেতন যেমন বাড়বে তেমনি মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) ও অন্যান্য ভাতার পরিমাণও পরিবর্তন হবে। তবে এরই মাঝে প্রশ্ন উঠছে মহামারীকালের বকেয়া থাকা মহার্ঘ ভাতার টাকা কি পাওয়া যাবে? জানতে আজকের প্রতিবেদনটি শেষ অবধি পড়ুন।
অষ্টম পে কমিশনে মিলবে বকেয়া ১৮ মাসের DA?
আসলে করোনা মহামারিকালে বা বলা ভালো জানুয়ারি ২০২০ থেকে জুন ২০২১ এই সময়ে মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হয়নি। সরকারের উপর থাকা আর্থিক চাপের কারণে স্থগিত রাখা হয়েছিল DA। এই ১৮ মাসের DA আজও পাননি সরকারি কর্মীরা। ইতিমধ্যেই ন্যাশনাল কাউন্সিল জয়েন্ট কনসাল্টেটিভ মেশিনারির তরফ থেকে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামানকে এই DA এরিয়ার দেওয়ার জন্য চিঠিন লেখা হয়েছে বাজেট ২০২৫ প্রকাশের আগে। তবে এই বকেয়া টাকা যে অদূর ভবিষ্যতে মিলবে এমন কোনো অফিসিয়াল ঘোষণা এপর্যন্ত সরকারের তরফ থেকে আসেনি।
বকেয়া DA-র দাবিতে অর্থমন্ত্রীকে চিঠি
চিঠিতে NC JCM এর সেক্রেরেটারি গোপাল মিশ্র লিখেছেন, আমরা সরকারের তরফ থেকে ১৮ মাসের বকেয়া থাকা DA এরিয়ারের টাকা পেমেন্ট করার জন্য দাবি জানাচ্ছি। দেশের সর্বোচ্চ আদালতও নিজের রায়ে অনুযায়ী ও বর্তমানে দেশের ইকোনোমিক পরিস্থিতি সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের বকেয়া থাকা মহার্ঘ ভাতা এরিয়ার কর্মীচারীদের ও পেনশনারদের ফেরত দেওয়া হোক। একইসাথে অষ্টম পে কমিশন গঠনের কথাও লেখা হয়েছিল চিঠিতে।
১৮ মাসের DA এরিয়ার নিয়ে সরকারের বক্তব্য
একাধিক কর্মী সংগঠনের তরফ থেকে চাপ ও চিঠি আসা সত্ত্বেও করোনাকালীন বকেয়া থাকা ১৮ মাসের DA নিয়ে সরকারের মত, মহামারী চলাকালীন অতিরিক্ত আর্থিক চাপ কমানোর জন্যই সরকারের তরফ থেকে DA এর অর্থ প্রদান বন্ধ রাখা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে রাজ্য সভায় কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী পঙ্কজ চৌধুরী সরকারের পক্ষে যুক্তি দিয়েছিলেন। তিনি জানান, উক্ত ১৮ মাসের সময়ে অর্থনৈতিক বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়েছিল যেটা সরকারের কোষাগারের উপর চাপ সৃষ্টি করেছিল। DA স্থগিত হওয়ার ফলে মোট ৩৪,৪০২.৩২ কোটি টাকা বাঁচে কেন্দ্রীয় সরকারের যেটা ট্রেন ও করোনা মোকাবিলায় ব্যবহার করা হয়।
আরও পড়ুনঃ কলকাতার পর শিলিগুড়িতেও চলবে মেট্রো
প্রসঙ্গত, বকেয়া DA এর দাবি ছাড়াও উৎসবের সময় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের জন্য অ্যাডভান্স চালু করার জন্য দাবি করা হয়েছে। এছাড়াও কমিউটেড পেনশনের সময়সীমা ১৫ বছরের বদলে কমিয়ে ১২ বছর করার দাবি জানানো হয়েছে। কারণ বিগত কয়েক দশকে বহু নিয়ম ও সূচক পরিবর্তন হয়েছে সেই হিসাবেই সরকারের এই পরবর্তন করা উচিত বলে দাবি কর্মী সংগঠনগুলির।