শ্বেতা মিত্র, কলকাতাঃ যত বেশি মদের দোকান, তত বেশি টাকার পরিমাণ! এমনটা শুধু কথার কথা না, প্রমাণ করছে সংখ্যা। এই সংখ্যা এতটাই বিরাট যে রাজ্য সরকারও রীতিমতো নড়েচড়ে বসেছে। প্রতি পঞ্চায়েতে করা হবে মদের দোকান, এমনটাই নাকি ভেবেছে রাজ্য সরকার। বিষয়টা স্পষ্ট, আরো বেশি লাভ। মদ বিক্রি করে লাভের অংক আরো বাড়াতে চাইছে পশ্চিমবঙ্গের সরকার।
আরও মদ বিক্রি বাড়াতে উদ্যোগী রাজ্য!
মদ বিক্রি করা লাভের পরিমাণ তখনই বাড়বে, যখন বাড়বে মদের দোকানের সংখ্যা। সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গোটা রাজ্যে সরকার অনুমোদিত এমন মদের দোকান রয়েছে মোট ৭ হাজার ৭৪৬ টি। যার মধ্যে পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে ৩ হাজার ৩৩৯ টি দোকান। যদিও সব দোকান এখনো তৈরি হয়নি বলে দাবি করা হচ্ছে। বাকি দোকানগুলো তৈরি হয়ে গেলে রাজ্য সরকারের কোষাগারে যে আরো বেশি অর্থ প্রাপ্তি হবে সেটা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
মিডিয়ায় প্রকাশিত রিপোর্ট থেকে আরো জানা যাচ্ছে, ২০২৪ সালে শুধুমাত্র মদ বিক্রি করে রাজ্যের আয় হয়েছে ৩ হাজার ৬১৮ কোটি টাকা। ২০২৩ সালে মদ বেচে রাজ্যের আয় হয়েছিল ২ হাজার ৩৫০ কোটি টাকা। অর্থাৎ মদ বিক্রি থেকে আয়ের বৃদ্ধির ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে।
আরও বাড়বে মদ বিক্রি?
মদের দোকান খোলা, মদ বিক্রি, মদ থেকে আয় ইত্যাদি পুরো বিষয়টা দেখভাল করার জন্য ২০১৭ সালে তৈরি করা হয়েছিল ওয়েস্টবেঙ্গল স্টেট বেভারেজ কর্পোরেশন লিমিটেড। খবর অনুযায়ী, আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে বাংলায় আরো কিছু নতুন মদের দোকান খুলতে চলেছে। শুধু দক্ষিণ কলকাতাতেই ৪০৫ টা মদের দোকান রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এরপর থাকবে পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান।
কীভাবে পাবেন মদের দোকানের লাইসেন্স?
মদের দোকান খুলতে গেলে সবার আগে যেটা প্রয়োজন, সেটা হল লিকার বা ওয়াইন লাইসেন্স। রাজ্যের আবগারি দফতর এই লাইসেন্স বণ্টন করে। তবে এর জন্য রয়েছে দীর্ঘ প্রক্রিয়াও। আপনাকে মদের দোকান খোলার লাইসেন্স পেটে গেলে সরাসরি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আবগারি দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। এরপর সেখান থেকে আবেদনপত্র নিয়ে না পূরণ করে জমা দিতে হবে। এরপর আবগারি দফতরের তরফে যাচাই প্রক্রিয়া চালানো হবে। সেখানে পাস হয়ে গেলেই আপনার হাতে লাইসেন্স চলে আসবে। মনে রাখবেন, আপনি মদের দোকান খোলার জন্য যেই জায়গা বেছে নেবেন, সেটি যেন কোনও মতেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ধর্মীয়স্থানের একদম কাছে না হয়। তাহলে আপনার আর লাইসেন্স নেওয়া হবে না।