প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: নতুন বছরের শুরুতে কয়েকটা দিন কনকনে শীতের দেখা মিললেও সেই শীত বেশিদিন স্থায়ী থাকেনি। পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে চড়চড়িয়ে বেড়েই চলেছে তাপমাত্রা। আর এই আবহে ফের আরও ২ ডিগ্রি চড়ল পারদ। এবং পশ্চিমি ঝঞ্ঝার দাপটে চলতি সপ্তাহে ফের শীতের দেখা মিলবে না বঙ্গে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। কিন্তু এই আবহের মাঝেই এবার সপ্তাহান্তে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা জানিয়ে দিল আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
দক্ষিণবঙ্গে আজকের আবহাওয়া
শীতের দাপট দিনের পর দিন এতটাই কমে যাচ্ছে যে আশা করা যাচ্ছে ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে সরস্বতী পুজোর পর ধাপে ধাপে শীতের পাকাপাকি বিদায় হবে রাজ্য থেকে। তবে দক্ষিণবঙ্গে আপাতত বৃষ্টির কোনো সম্ভাবনা নেই। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়া জেলার আবহাওয়া আগামী রবিবার পর্যন্ত শুষ্ক থাকবে।
অন্যদিকে বঙ্গোপসাগর থেকেও জলীয় বাষ্প ক্রমাগত রাজ্যে ঢোকার ফলে আগামী ২৪ ঘণ্টায় রাজ্য জুড়ে চলবে ঘন কুয়াশার দাপট। কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, দুই বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়াতে ঘন কুয়াশার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। যার ফলে এলাকাগুলিতে আজ হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে।
উত্তরবঙ্গে আজকের আবহাওয়া
দক্ষিণবঙ্গের মত আজও উত্তরবঙ্গে বাড়বে তাপমাত্রা। প্রায় ২-৩ ডিগ্রি ঊর্ধুমুখী হবে তাপমাত্রা। আগামী শনিবার পর্যন্ত থাকবে এমনই পরিস্থিতি। আসলে এইমুহুর্তে পশ্চিমী ঝঞ্ঝার কারণে উত্তুরে হাওয়ায় প্রবল বাধা পড়েছে। তবে আশা করা হচ্ছে আগামী ২৬ জানুয়ারি থেকে উত্তুরে হাওয়া বইবে। তাপমাত্রা ফের কমবে ২-৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত। সঙ্গে রয়েছে বৃষ্টির সম্ভাবনা। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের তরফ থেকে জানা গিয়েছে উত্তরবঙ্গে আগামী সপ্তাহের শুরুতেই বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
জানা গিয়েছে দার্জিলিং ও কালিম্পং জেলার পার্বত্য এলাকায় বৃষ্টির পূর্বাভাস আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের। রাতের দিকে হালকা তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া উত্তরবঙ্গে সর্বত্র হালকা-মাঝারি কুয়াশা থাকবে। আজ উত্তরে কোচবিহার, দুই দিনাজপুর এবং মালদহে ঘন কুয়াশার হলুদ সতর্কতা জারি হয়েছে। কুয়াশার দাপট এতটাই বাড়বে যে কুয়াশায় দৃশ্যমানতা ১৯৯ থেকে ৫০ মিটারে নেমে যেতে পারে।