প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: গত সপ্তাহে কলকাতা লাগোয়া বাঘাযতীন এলাকায় ভেঙে পড়ল বহুতল। ভেঙে পড়া বাড়িটির চাপে আরও হেলে গিয়েছিল পাশের ২টি বাড়ি। আর সেই ভয়ংকর পরিস্থিতি কাটতে না কাটতেই ফের কলকাতায় হেলে পড়ল বহুতল বাড়ি। গতকাল অর্থাৎ বুধবার সকালে ট্যাংরায় একটি নির্মীয়মাণ চার তলা ফ্ল্যাট বাড়ি হেলে পড়ে। যার ফলে ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডের ১১/২ ক্রিস্টোফার রোডের এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছে পুলিশ। সেই আবহে এদিকে মেটিয়াবুরুজে একটি বাড়িতে বেআইনি অংশ ভাঙতে গিয়ে ক্ষোভের মুখে পড়েন পুরসভার কর্মীরা।
ঘটনাটি কী?
এদিন পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে যে, মেটিয়াবুরুজে ১৩৮ নম্বর ওয়ার্ডে ৮ ছটাক জমিতে রয়েছে পুরসভার তরফে একাংশ বেআইনি বলে ঘোষণা করা এই একতলা বাড়ি। সেই বেআইনি অংশ ভাঙতে তাই বুধবার বিকেলে যান কলকাতা পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের কর্মীরা। এবং এদের সঙ্গে পুরসভার ১৫ নম্বর বরোর আধিকারিকরাও ছিলেন। আর তখনই বন্ধে দ্বন্দ্ব।
রাজনৈতিক মহলেও চলছে জোর জল্পনা
পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের কর্মীরা বেআইনি অংশ যেই ভাঙার কাজ শুরু করতে যাবে এমন সময় এলাকার লোকজন পুরসভার কর্মীদের ঘেরাও করে তাঁদের ধাক্কাধাক্কি করতে শুরু করে দেয়। রীতিমতো স্থানীয়দের ক্ষোভের মুখে পড়েন পুরসভার কর্মীরা। পরিস্থিতি এতটাই ভয়ংকর হয়ে ওঠে যে বাধ্য হয়ে নিজেদের জীবন বাঁচাতে এলাকা ছাড়েন কর্মীরা। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এবং রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে নানা বাকবিতণ্ডা। শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রশ্ন উঠছে বেআইনি নির্মাণ নিয়ে। এলাকায় সিপিএম এর তরফ থেকে প্রশ্ন করা হচ্ছে বারবার করে পুরো কর্মীরা কেন আক্রান্ত হচ্ছে? আজ যদি মেয়র এই বেআইনি ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতেন তাহলে এইসব ঘটনা ঘটবে না।
আরও পড়ুনঃ রাস্তায় মুরগির মাংস বিক্রি, এবার অভিযানে নামছে কলকাতা পুরসভা
অন্যদিকে ১৩৮ নম্বর ওয়ার্ড এর তৃণমূল কাউন্সিলর ফরিদা পারভিন এই প্রসঙ্গে জানান যে, “আমার ছেলে অসুস্থ। আমি বিকেলে ফিরে গোটা বিষয়টি জানতে পারি। আইনি হোক বা বেআইনি যেটা সঠিক হবে সেই হিসেবে কলকাতা পৌরসভা ব্যবস্থা নেবে। আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিতে পারে না।” এই এদিকে ট্যাংরায় হেলে পড়া জোড়া বহুতলকে ঘিরে এখন আতঙ্কের প্রহর গুনছে ক্রিস্টোফার রোড। আশঙ্কায় রয়েছে আরেকটি নির্মীয়মাণ ছ’তলা আবাসন। এই দুটি বহুতল বিপজ্জনকভাবে হেলে পড়েছে একে অপরের গায়ে। যে কোনও সময় বড়সড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। যার ফলে বেশ চাপের মুখে রয়েছে প্রশাসন।