শ্বেতা মিত্র, কলকাতা: সময় পেলেই বাঙালিদের মন চায় একটু কোথাও ঘুরতে যেতে। অফিসের কাজের চাপ সহ অন্যান্য কাজের জন্য বেশি দিন যে ছুটি নিয়ে কোথাও ঘুরতে যাবেন সেই উপায় নেই। ফলে কাছেপিঠে কোনো গন্তব্যের সন্ধান পেলে মন্দ হয় না। সেই সঙ্গে যদি খরচপাতি কম হয় তাহলে তো কোনো কথাই নেই। পশ্চিমবঙ্গে ঘোরার জায়গার অভাব নেই। উত্তরে গেলে পাহাড়, দক্ষিণে গেলে সমুদ্র। আর মাঝামাঝি জায়গায় সবুজের সমারোহ। দার্জিলিং যাওয়ার খরচ তুলনামূলক বেশি। আর দীঘা তো অনেক হল। তাছাড়া সেখানে বছরভর পর্যটকদের ভিড় লেগেই রয়েছে, নিরিবিলিতে থাকার জো নেই। তাহলেই রইল বাকি রাজ্যের মাঝামাঝি কোনো একটা জায়গা, মানে সবুজের মাঝে।
ঘুরে আসুন এই অফবিট জায়গা থেকে
শান্তিনিকেতন ইতিমধ্যে অনেকেই ঘুরেছেন। কিন্তু ঝাড়গ্রামে এখনো এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেখানে ট্যুরিস্টদের ভিড় সেরকম নেই। আসলে ঝাড়গ্রাম বা জঙ্গলমহল এলাকায় এক সময় মাওবাদীদের খুব দৌরাত্ম্য ছিল। ফলে বছর কয়েক আগেও সেখানকার বন জঙ্গলে পর্যটকদের আনাগোনা ছিল অনেকটাই কম। এখন পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক। একে একে উঠে আসছে ঝাড়গ্রামের অফবিট কিছু জায়গার নাম। তেমনই একটি জায়গা হল কাঁকড়াঝোর। এখানেই হয়েছিল বিখ্যাত বাংলা সিনেমা ‘চার মূর্তি’র শুটিং।
চার মূর্তি মানে বাংলা সাহিত্যের কালজয়ী চরিত্র টেনিদা। তাই কাঁকড়াঝোর জঙ্গলে ভালোবেসে কেউ টেনিদার জঙ্গল বলে ডাকতেই পারেন। চাইলে আপনিও চাইলে এখানে বন্ধুদের সঙ্গে দিন দুই সময় কাটাতে আসতে পারেন। কিংবা চাইলে নিরালায় বসে দু’দণ্ড সময়ও কাটাতে পারেন নিজের সঙ্গে। লাল মাটির রাস্তা, পথের ধারে ক্ষেত জমি, মাটির বাড়ি, বাড়ির দেওয়ালে সুন্দর আলপনা, পাখপাখালির ডাক,পত্র্মর্মর, কুয়াশা ঘন শীতের সকাল… সবই পাবেন এখানে।
থাকা-খাওয়া নিয়ে চিন্তা নেই
থাকার জায়গাও পেয়ে যাবেন। সময়ের সঙ্গে ধীরে ধীরে কাঁকড়াঝর উঠে আসছে বাংলার পর্যটন মানচিত্রে। গ্রামে পা হেঁটে ঘোরার সঙ্গে গাড়ি ভাড়া করেও কাছেপিঠে কোথাও যেতে পারেন। আশেপাশে অনেক ঘোরার জায়গা রয়েছে। গাদ্রাসিনি পাহাড়, ঘাঘরা জলপ্রপাত, খানদারানি বাঁধ সহ আরো অনেক দেখার মতো জায়গা রয়েছে কাঁকড়াঝোরের আশেপাশে।