Indiahood-nabobarsho

মাধ্যমিক পরীক্ষার ১ মাস আগেই আরেকটি নয়া নিয়ম লাগু মধ্যশিক্ষা পর্ষদের

Published on:

wbbse

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: সামনেই মাধ্যমিক পরীক্ষা (Madhyamik Pariksha)। হাতে আর ১ মাসও সময় নেই। তাই জোর কদমে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। কোথাও যাতে কোনো রকম অসুবিধা না হয় সেই কারণে এক ঝলক দেখে নেওয়া হচ্ছে বইয়ের প্রতিটি পাতা। শিক্ষা জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা বলে কথা। এদিকে একপ্রকার বড় পরীক্ষাও বটে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের। প্রশ্ন পত্রের ওপর কড়া নজরদারি করার পাশাপাশি পরীক্ষাকেন্দ্রে যাতে সবকিছু নিয়মের মধ্যেই সুষ্ঠ হয় তাই নিয়ে প্রতিটি স্কুলে দেওয়া হচ্ছে পর্ষদের তরফ থেকে কড়া বার্তা। আর এই আবহে এবার মাধ্যমিক পরীক্ষায় আরও স্বচ্ছতা আনতে এবং পরীক্ষা পদ্ধতি আরও নির্ভুল করতে এবার এক ধাপ এগোল মধ্যশিক্ষা পর্ষদ।

গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে জয়েন করুন Join Now

মাধ্যমিক পরীক্ষার খাতার ক্ষেত্রে জটিলতা

প্রথম থেকেই মাধ্যমিকের খাতা দেখার ক্ষেত্রে লাল কালির পেন ব্যবহারের চল ছিল। খাতার মধ্যেই প্রতিটি প্রশ্নের উত্তরের মোট নম্বর লেখা হয়ে থাকে। তারপর খাতার শেষে এবং উপরে দুই দিকেই উল্লেখ করা হয় ওই বিষয়ে পরীক্ষার্থীর প্রাপ্ত মোট নম্বর। তবে এবার সেই নিয়মে খানিক বদল আসতে চলেছে। কেনোনা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় প্রশ্নের উত্তর আগে পরে দেওয়ায় মোট নম্বর নির্ধারণে, কালির নম্বর আবছা হয়ে যাওয়ার মত একাধিক সমস্যা দেখা দিয়েছে। যার ফলে পরীক্ষার্থীর ফল প্রকাশের পর রিভিউ, স্ক্রুটিনি বা RTI-এর ক্ষেত্রে নম্বর কমার থেকে উল্টে অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। তাই এবার সেটি পরিবর্তন করতে চলেছে পর্ষদ।

খাতা দেখার ক্ষেত্রে এবার নয়া নিয়ম পর্ষদের

জানা গিয়েছে, এখন থেকে যে সকল শিক্ষক বা শিক্ষিকা মাধ্যমিক খাতা দেখার দায়িত্বে থাকবে তাঁদের সকলকে প্রত্যেক খাতাপিছু একটি করে ‘কেজিং শিট’ দেওয়া হবে। অর্থাৎ শিক্ষক বা শিক্ষিকারা কেবল পরীক্ষার খাতায় নয়, আলাদা ‘কেজিং শিট’-এও পরীক্ষার নম্বর তুলবে। এরপর পরীক্ষকদের খাতা দেখার পর সমস্ত ‘কেজিং শিট’ প্রধান পরীক্ষকের কাছে জমা দিয়ে দিতে হবে। এতে নম্বর নির্ধারণের ক্ষেত্রে কোনো রকম অসুবিধা হবে না। এমনকি এই নয়া পদ্ধতি চালুর ফলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আশঙ্কা করছে রিভিউয়ের সময়ে পরীক্ষার্থী ও পরীক্ষক দু’পক্ষই উপকৃত হওয়ার পাশাপাশি আইনি জটিলতা এড়ানো সম্ভব হবে।

বাছায় করা খবর নিজের মোবাইলে পেতে Join Now

আরও পড়ুনঃ মাটির তলে বড় বড় বাঙ্কার, ওগুলো কাদের? BSF-র তল্লাশির পর ভয়ঙ্কর তথ্য দিলেন স্থানীয়রা

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের এই নয়া উদ্যোগে বিভিন্ন শিক্ষক শিক্ষিকাদের মধ্যে নানা মতামত দেখা গিয়েছে। কেউ এই নয়া উদ্যোগকে প্রশংসা জানিয়েছে। কেউ বা আবার পর্ষদের দেওয়া নির্দেশকে বাড়তি চাপ হিসেবে দেখছে। যোধপুর পার্ক গার্লস হাই স্কুলের সহ প্রধানশিক্ষিকা অজন্তা চৌধুরী এই বিষয়ে জানিয়েছেন, “এই পদ্ধতি চালুর ফলে স্বচ্ছতা এবং সুরক্ষা প্রাধান্য পেলেও পরীক্ষকদের খাটনি আরও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই পর্ষদের উচিত সব দিক বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া।”

গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্যJoin Group
চাকরির খবরের জন্যJoin Hood Jobs
রাশিফলের জন্যJoin Hood Rashifal
খেলার খবরের জন্যJoin Whatsapp
সঙ্গে থাকুন ➥
X
Join Group