ভারত, চিন, রাশিয়া একসাথে আসতেই ঘুম উড়ল আমেরিকার! ১০ দিনে দ্বিতীয়বার দিল হুমকি

Published on:

untitled design 1

প্রীতি পোদ্দার, কলকাতা: ২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক মঞ্চ হিসাবে আত্মপ্রকাশ হয় ব্রিকসের। এটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক মঞ্চ যেখানে রয়েছে ভারত, চিন, রাশিয়া, ব্রাজিল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা। পরবর্তীকালে ইরান, মিশর, ইথিওপিয়া এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এতে যোগ দিয়েছে। তবে এই মঞ্চে আমেরিকা সংযুক্ত নয়। আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য মার্কিন ডলার ব্যবহার করা হয়।

কিন্তু ২০২৩ সালে আয়োজিত BRICS সম্মেলনে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুলা দ্য সিলভা প্রথম বিকল্প তৈরির প্রস্তাব দেয় সেই মঞ্চে। আর এই প্রস্তাবে চিন, রাশিয়া তা সমর্থনও করে। এর পর ডলার নির্ভরতা কমানোর কথা একাধিকবার কথা শোনা গিয়েছে বেজিং ও মস্কোর মুখে। এবার এই বিষয় নিয়েই এ দিন তোপ দেগেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে দ্বিতীয় বারের জন্য নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প।

দ্বিতীয় হুমকি বার্তা ট্রাম্পের

WhatsApp Community Join Now

গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসাবে শপথ নেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এবং শপথ নেওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই ব্রিকস দেশগুলিকে ১০০% শুল্ক আরোপের হুমকি দিয়েছিলেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্প এই প্রসঙ্গে লিখেছেন, ‘ব্রিকসের দেশগুলি ডলার থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে চাইছে। এই দেশগুলিকে আমাদের প্রতিশ্রুতি দিতে হবে যে আমেরিকান ডলারকে রিপ্লেস করার জন্য নতুন ব্রিকস কারেন্সি আনবে না বা অন্য কোনও মুদ্রাকে সমর্থন করবে না।” এবং হুমকির সুরে এও জানান যে যদি তারা এই কাজটি করে তাহলে ১০০ শতাংশ শুল্ক চাপানো হবে। আর সেই রেশ কাটতে না কাটতেই মাত্র ১০ দিনের মাথায় ফের দ্বিতীয়বার একই হুমকি দিলেন ট্রাম্প।

ভারতের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

আসলে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ভয় পেয়েছেন এই ভেবে যদি ব্রিকস দেশগুলি ডলারের পরিবর্তে তাদের নিজস্ব মুদ্রা চালু করে। কিন্তু এখনও ব্রিকস দেশগুলি এই ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি। শুধুমাত্র আলোচনা করা হচ্ছে। আর সেই খবর প্রকাশ হওয়া মাত্রই আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এক্ষেত্রে অনেকের মনে প্রশ্ন জাগছে আন্তর্জাতিক লেনদেনের জন্য ডলার ব্যতীত অন্য কোনও মুদ্রা ব্যবহারের ভারতের কী মতামত। যদিও ভারত যে ডি-ডলারাইজেশনের পক্ষে নয়, সে বার্তাও কৌশলে দিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ কে এই শুভাংশু শুক্লা? জানুন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে যাওয়া প্রথম ভারতীয়র সম্পর্কে

সম্প্রতি এই বিষয়কে কেন্দ্র করে বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর ভারতের স্পষ্ট অবস্থান বোঝাতে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করেছিলেন। যেখানে জানানো হয়েছিল যে, ডলারের প্রতিপক্ষ গড়ে তোলার কোনও ‘অসৎ বাসনা’ নেই ভারতের। যদিও ভারতের কিছু বাণিজ্যসঙ্গীর কাছে পর্যাপ্ত ডলার না থাকায় লেনদেনে সমস্যা তৈরি হয়। তাই ভারতও বিকল্পের খোঁজ চালাচ্ছে। আসলে ভারতের লক্ষ্য কেবল বাণিজ্য সহজতর করা, মার্কিন ডলারকে চ্যালেঞ্জ করা নয়।

সঙ্গে থাকুন ➥
X