পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মীরা বছরের শুরু থেকেই নয়া বেতন কমিশনের দাবি তুলছিলেন। কারণ ২০২৫ সালের ৩১শে ডিসেম্বর মেয়াদ শেষ হতে চলেছে সপ্তম পে কমিশনের। সেই আশা পূরণ করে জানুয়ারি মাসেই অষ্টম বেতন কমিশন গঠনের জন্য মঞ্জুরি দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। যার ফলে ১ কোটিরও বেশি কর্মী ও পেনশনভোগীরা উপকৃত হবেন। কিন্তু এবার জানা যাচ্ছে ১ লা জানুয়ারি ২০২৬ থেকে নয়া বেতন কমিশন চালু হওয়ার সম্ভাবনা কম।
অষ্টম বেতন কমিশনে মঞ্জুরি কেন্দ্রীয় সরকারের
বিগত ১৬ই জানুয়ারি ক্যাবিনেট বৈঠকের পরেই সুখবর দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। অষ্টম বেতন কমিশনের মঞ্জুরি দেওয়াতে দ্রুত ২ সদস্যের একটি প্যানেল গঠন করা হবে বলেও জানা যায়। যারা গতবছরের শুরুর দিকেই রিপোর্ট দেবে ফলে ১ লা জানুয়ারি ২০২৬ থেকেই নয়া কমিশন লাগু হবে। এমনটাই আশা ছিল কর্মী ও পেনশনভোগীদের। তবে এই আশা আদৌ কতটা বাস্তবায়িত হবে তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।
বাজেটে নেই অষ্টম পে কমিশনের ঘোষণা
মাসের শুরুতে ইউনিয়ান বাজেট ২০২৫ সামনে আনেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কিন্তু তার বাজেট ভাষণে কোথাও সরকারের ২০২৬-২৭ সালে বেতন ও পেনশন সংক্রান্ত খরচ যে বাড়বে তার কোনো উল্লেখ নেই। এই ঘটনার প্রেক্ষিতেই বিশেষজ্ঞদের ধারণা ২০২৬ সালেই চালু হবে না নয়া বেতন কমিশন। এর জন্য বেশি কিছুটা দেরি হতে পারে।
নতুন কমিশনের জন্য যে প্যানেল তৈরি হবে তা থেকে রিপোর্ট পেতে ও সেটার ফাইনালাইজেশন হতে কম করে এক বছর অপেক্ষা করতে হবে বলেই জানা যাচ্ছে মানি কন্ট্রোলের রিপোর্ট অনুযায়ী। কারণ শেষবার সপ্তম পে কমিশন গঠনের আগেও রিপোর্ট তৈরী করতে ১৮ মাস সময় লেগেছিল।
আরও পড়ুনঃ আট দশক ধরে চলমান, আজ হাওড়া ব্রিজের জন্মদিন, কত হল বয়স?
প্রসঙ্গত, অষ্টম পে কমিশন গঠিত হলেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের নূন্যতম বেতন ও পেনশন অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। ফিটমেন্ট ফ্যাক্টর ১.৯২ থেকে বেড়ে ২.৮৬ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। যদি তেমনটা হয় তাহলে নূন্যতম বেতন ১৮,০০০ টাকা থেকে বেড়ে ৫১,৪৮০ টাকা হয়ে যেতে পারে। সেই হিসেবে নূন্যতম পেনশন ৯,০০০ টাকা থেকে বেড়ে ২৫,৭৪০ টাকা হয়ে যাবে। যদিও বাস্তবে কি হয় সেটাই এখন দেখার অপেক্ষা।