পার্থ সারথি মান্না, কলকাতাঃ চাকরির যা অবস্থা তাতে কাজের আশা ছেড়ে ব্যাবসার দিকে এগোচ্ছেন অনেকেই। অবশ্য এক্ষেত্রে অনেকেই কিছুটা কনফিউজ রয়েছেন, কারণ বাজারে হাজারো একটা ব্যবসা রয়েছে কোনটা করলে ভালো লাভ করা যাবে সেটা বুঝে ওঠা বেশ মুশকিল। চিন্তা নেই, আজ আপনাদের জন্য এক দুর্দান্ত ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে হাজির হয়েছি যেটার দৌলতে বাড়ি থেকে কাজ করেই প্রতিমাসে ৫০,০০০ টাকা অবধি উপার্জন করতে পারবেন খুব সহজেই।
ব্যবসার আইডিয়া | Business Idea
গ্রামের এমন অনেক ছেলে মেয়ে রয়েছে যারা প্রথাগত চাষবাসের কাজ না করে চাকরির আশায় পড়াশোনা করছেন। কিন্তু মুশকিল হচ্ছে পড়াশোনা শেষ হলেও সেভাবে ভালো কাজ মিলছে না। তাই তাঁরা যদি নতুন কিছু শুরু করে অর্থ উপার্জন করতে চান তাহলে গোল্ড ফিশের চাষ শুরু করতে পারেন। হ্যাঁ শুনতে কিছুটা অবাক লাগলেও এই কাজে ভালো লাভ করা যায়। কিভাবে আপনিও শুরু করতে পারবেন? কত খরচ হবে ও কতটাকা আয় হতে পারে? জানতে আজকের প্রতিবেদনটি শেষ অবধি পড়ুন।
কীভাবে শুরু করবেন গোল্ড ফিশ চাষের ব্যবসা? | Gold Fish Business
আপনি যদি গোল্ড ফিশ চাষের ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে সবার আগে ২৫০ বর্গফুটের মত জায়গার প্রয়োজন। যেখানে গোল্ড ফিশ চাষ করবেন। এছাড়াও আরও কিছুটা জায়গার প্রয়োজন হবে কারণ বাচ্চা থেকে বড় হওয়ার সময় মাছগুলিকে আলাদা রাখতে হবে। তারপর জলে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেনের যোগানের জন্য অক্সিজেন মেশিন থেকে শুরু করে তাপমাত্রা ঠিক রাখার জন্য হিটার, মাছের খাবার, জল পরিষ্কার রাখার কেমিক্যাল ফিল্টার থেকে শুরু করে কিছু ওষুধ সব ব্যবস্থা করে তবেই কাজ শুরু করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ দিনে ২ ঘন্টা দিয়ে শুরু করুন পার্ট টাইম ব্যবসা, প্রতিমাসে আয় হবে চাকরির ডবল টাকা
কত টাকা বিনিয়োগ করতে হবে?
প্রথমবার গোল্ড ফিশের চাষ শুরু করতে বেশ কিছু টাকা বিনিয়োগ করতে হবে। যদি বাড়িতেই জায়গা থাকে তাহলে সবচেয়ে ভালো হয় এক্ষেত্রে ঘর ভাড়ার টাকা বেঁচে যাবে। এমনকি চাইলে বাড়ির ছাদেও বড় চৌবাচ্চা মত বানিয়ে শুরু করতে পারেন। সেক্ষেত্রে ছাউনির ব্যবস্থা করতে হবে। তবে একটা ট্যাঙ্ক বানিয়ে তাতে ফিল্টার, অক্সিজেন পাম্প লাগানো থেকে শুরু করে মাছের বাচ্চা কেনা ও তাদের খাবার ও ওষুধ সব মিলিয়ে ৫০,০০০ টাকার কাছাকাছি বিনিয়োগ করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ পার্টটাইমে ব্যবসা করেই প্রতিমাসে আয় হবে ৫০,০০০ টাকা
কত টাকা আয় করা সম্ভব?
গোল্ড ফিশ চাষের ক্ষেত্রে আয়ের কোনো ঊর্ধ্বসীমা সেভাবে নেই। কারণ মাছের প্রজাতির উপর বিক্রির দাম নির্ভর করে, সবচেয়ে সাধারণগুলি ১০ টাকা পিস হিসাবে বিক্রি হয় ও দামিগুলি ৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ৫০০০ টাকাও হয়। বাড়িতে অ্যাকোরিয়াম সাজানোর জন্য এই ধরণের মাছের চাহিদা ব্যাপক। অনেকেই দামি মাছ কিনতে ও সেটা ঘরের অ্যাকোরিয়ামে রাখতে পছন্দ করেন। এক্ষেত্রে যেহেতু কোনো এমআরপি নেই তাই নিজের পছন্দমত দামে বিক্রি করতে পারেন। একইসাথে অ্যাকোরিয়াম সাহায্যের জিনিসপত্র থেকে শুরু করে ফিল্টার, মাছের খাবার ইত্যাদি বিক্রি করতে পারেন। সব মিলিয়ে প্রতিমাসে ৫০,০০০ টাকা থেকে ৭৫,০০০ পর্যন্ত আয় করা সম্ভব।