প্রীতি পোদ্দার, পশ্চিম মেদিনীপুর: বসন্ত পঞ্চমীতে বাণী বন্দনায় মুখরিত হয়ে ওঠে সমস্ত শিক্ষা কেন্দ্র বা প্রতিষ্ঠান। হলুদ দিয়ে স্নান করে হলুদ শাড়ি বা পাঞ্জাবি পরে অঞ্জলী দিতে বসে পড়ে সকলে। বেশ এক উৎসবের মত চলে কয়েকটা দিন। আর এই উৎসবের মাঝেই বন্ধ হতে বসেছে গ্রামের শিশু শিক্ষা কেন্দ্র তথা বাচ্চাদের এই স্কুল৷ এদিকে একমাত্র শিক্ষকের অবসরের পরই গ্রামের খুদে পড়ুয়াদের অভিভাবকরা পড়েছেন চিন্তায় ৷ তাইতো পুনরায় স্কুল চালুর প্রার্থনায় সরস্বতী বন্দনায় সামিল হয়েছেন গ্রামবাসীরা৷
পুজোর উদ্যোগ গ্রামবাসীদের!
ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা ১ নম্বর ব্লকের নিশ্চিন্তপুর শিশু শিক্ষাকেন্দ্র ৷ যেখানে এইমুহুর্তে ছাত্র সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫ জন । সঙ্গে গড়ে ১০-১২ জন প্রসূতি মহিলার মিড-ডে মিল হয় । ২০০০ সালে একজন শিক্ষক ও একজন সহায়িকা দিয়ে এই স্কুলটি শুরু হয় । দু’বছর আগে সেই সহায়িকা অবসর নেন ৷ তখন স্কুলের একমাত্র শিক্ষক ছিলেন তরুণ পাল। কিন্তু তিনিও দু’দিন আগেই অবসর নিয়েছেন । শুরু থেকেই এই স্কুলে শিক্ষকতা করে আসছিলেন তরুণবাবু । তবে তাঁর অবসরে বর্তমানে শিক্ষকহীন স্কুল। যে স্কুল দু’দিন পর বন্ধ হয়ে যাবে তাইতো সেখানেই বিদ্যাদেবীর আরাধনা ও হাতে খড়ি হচ্ছে গ্রামের কচিকাচাদের। উদ্যোগ নিয়েছেন গ্রামের বাসিন্দারা।
এই প্রসঙ্গে এই সরকারী বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক তরুণ পাল স্কুল বন্ধের পরিস্থিতি সম্পর্কে জানিয়েছিলেন যে “এখন স্কুলের পরিস্থিতি খুবই বেদনাদায়ক। শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ার কারণে স্কুলটি উঠে যেতে বসেছে। তাই সরকারের কাছে অন্তর থেকে অনুরোধ জানাচ্ছি যে এই স্কুলে যেন খুব শীঘ্রই শিক্ষক নিয়োগ শুরু হয় হয়। নইলে বহু ছাত্র ছাত্রীর শিক্ষার ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ডুববে।”
স্কুল বন্ধে মহা সমস্যায় গ্রামবাসী
অন্যদিকে সুজয় শিকদার নামে গ্রামের এক বাসিন্দা জানান, স্কুল বন্ধ হয়ে গেলে গোটা গ্রাম খুব সমস্যায় পড়বেন। কারণ এই গ্রাম থেকে বেশ কয়েক কিলোমিটার দূরে অন্যান্য স্কুল রয়েছে। বর্ষায় খুব সমস্যা হবে সেই স্কুলে যেতে। কারণ বর্ষায় এখানে খুব জল জমে। এই বন্যা পরিস্থিতিতে অত দূরে ছেলেমেয়েদের নিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। এই স্কুল উঠে গেলে ছেলেমেয়েরা মানুষ হবে কী করে? এখন দেখার বিষয়ে এই যে সরকার এই সরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিয়ে কি আদেও কোনো পরিকল্পনা করবে নাকি এই ভাবেই চোখের সামনে বিলুপ্ত হয়ে যাবে বিদ্যালয়টি। যদিও এই বিষয়ে চন্দ্রকোণা 1 নম্বর ব্লকের বিডিও কৃষ্ণেন্দু বিশ্বাস জানান, শিক্ষক নিয়োগ এইমুহুর্তে করা সম্ভব নয় ৷ তাই ওই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের অন্যত্র পাঠাতে হবে।
গুরুত্বপূর্ণ খবরের জন্য | Join Group |
চাকরির খবরের জন্য | Join Hood Jobs |
রাশিফলের জন্য | Join Hood Rashifal |
খেলার খবরের জন্য | Join Whatsapp |